

গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া বা প্রতিষ্ঠানকে বাধাগ্রস্ত করাসহ বিভিন্ন অভিযোগে চার দেশের ১৪ জনের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। গতকাল বৃহস্পতিবার (২১ ডিসেম্বর) যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে এক বিবৃতি প্রকাশ করেছেন।
নিষেধাজ্ঞাপ্রাপ্তদের মধ্যে রয়েছেন— নিকারাগুয়ার ৪ জন, গুয়াতেমালার ৪, হন্ডুরাসের ৩ ও সালভাদোরের ৩ জন।
ম্যাথিউ মিলার বলেছেন, এসব ব্যক্তিকে ‘করাপ্ট অ্যান্ড আনডেমোক্রেটিক অ্যাক্টরস’-এর ৩৫৩ ধারার অধীনে নতুন করে তালিকাভুক্ত করা হয়েছে। ইউনাইটেড স্টেটস-নর্দান ট্রায়াঙ্গল এনহ্যান্সড এনগেজমেন্ট অ্যাক্টের অধীনে এই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। ফলে ওইসব ব্যক্তি যুক্তরাষ্ট্রের ভিসার অযোগ্য হবেন এবং যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করতে পারবেন না।
তিনি বলেন, প্রশাসনের ‘রুট কজেস স্ট্র্যাটেজি’র অধীনে এই অঞ্চলে শক্তিশালী গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থাকে উৎসাহিত করার ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার রয়েছে। দুর্নীতি এবং অন্যান্য নীতিভ্রষ্ট চর্চা যা মধ্য আমেরিকার গণতন্ত্রকে খর্ব করে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি করছে এবং অনিয়মিত অভিবাসন সৃষ্টি করছে তার বিরুদ্ধে এসব পদক্ষেপ। অধিক স্থিতিস্থাপক, সমতাভিত্তিক এবং সমৃদ্ধ অঞ্চল গড়ে তোলার জন্য গণতান্ত্রিক আদর্শকে উৎসাহিত করতে, সুরক্ষিত রাখতে এবং পুনর্বহাল করতে এল সালভাদোরে, হন্ডুরাস, গুয়াতেমালা এবং নিকারাগুয়ায় কাজ করছি আমরা।
এ ছাড়া বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, সরকারি সব নেতৃত্ব, নাগরিক সমাজ, সাংবাদিক, বেসরকারি খাত ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আমরা আহ্বান জানাই গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থাকে শক্তিশালী করতে এবং দুর্নীতিকে বিদায় জানাতে আমাদের সঙ্গে যুক্ত হতে।