ডিসেম্বর ২২, ২০২৪

অক্টোবর মাসের প্রথম ১২ দিনে ৯৮ কোটি ৬৬ লাখ ৪০ হাজার ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা। দেশীয় মুদ্রায় প্রতি ডলার ১২০ টাকা ধরে যার পরিমাণ ১১ হাজার ৮৪০ কোটি টাকা।

বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এমন চিত্র উঠে এসেছে।

তথ্য অনুযায়ী, অক্টোবর মাসের ১২ তারিখ পর্যন্ত দেশে যে পরিমাণ রেমিট্যান্স এসেছে তার মধ্যে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে ২৪ কোটি ৫৬ লাখ ডলার, বিশেষায়িত একটি ব্যাংকের মাধ্যমে চার কোটি ৪৮ লাখ মার্কিন ডলার, বেসরকারি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে ৬৯ কোটি ৩৬ লাখ ডলার এবং বিদেশি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ২৬ লাখ ৪০ হাজার মার্কিন ডলার।

আলোচ্য এ সময়ে ১১ ব্যাংকের মাধ্যমে কোনো রেমিট্যান্স পাঠায়নি প্রবাসীরা। ব্যাংকগুলো হলো- রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক বা বিডিবিএল, বিশেষায়িত রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক বা রাবাক; বেসরকারি কমিউনিটি ব্যাংক, সিটিজেন্স ব্যাংক, আইসিবি ইসলামিক ব্যাংক, পদ্মা ব্যাংক ও ইউনিয়ন ব্যাংক। আর বিদেশি ব্যাংকের মধ্যে রয়েছে- হাবিব ব্যাংক, ন্যাশনাল ব্যাংক অব পাকিস্তান, স্টেট ব্যাংক অব ইন্ডিয়া এবং উরি ব্যাংক।

২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে দেশে এসেছে ১৯১ কোটি ৩৭ লাখ ৭০ হাজার ডলার, আগস্টে এসেছে ২২২ কোটি ৪১ লাখ ৫০ হাজার ডলার এবং সেপ্টেম্বরে এসেছে ২৪০ কোটি ৪৭ লাখ ৯০ হাজার মার্কিন ডলারের রেমিট্যান্স।

সদ্য সমাপ্ত ২০২৩-২৪ অর্থবছরে দুই হাজার ৩৯২ কোটি মার্কিন ডলারের সমপরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা দেশে এসেছে। দেশীয় মুদ্রার যার পরিমাণ দুই লাখ ৮২ হাজার কোটি টাকা। এটি এ যাবৎকালের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স আহরণ। দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ রেকর্ড রেমিট্যান্স এসেছিল ২০২০-২১ অর্থবছরে দুই হাজার ৪৭৭ কোটি ডলার।

বাংলাদেশ ব্যাংক কর্মকর্তারা জানান, সেপ্টেম্বরের শুরু থেকেই রেমিট্যান্স আসার গতি ভালো ছিলো। একই ধারা অভ্যাহত থাকায় সদ্য সমাপ্ত এ মাসে ২৪০ কোটি ডলারের বেশি রেমিট্যান্স এসেছে।

বৈধ পথে রেমিট্যান্স আসার পেছনে সচেতনতা কাজ করছে। আবার বৈধ পথে ডলারের দরবৃদ্ধিতে হুন্ডি থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন তারা। এতে রেমিট্যান্স আসার গতি বাড়ছে বলে জানান সংশ্লিষ্টরা।

গত দুই বছরে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ব্যাপকভাবে কমে যাওয়া নিয়ে আলোচনা হয়। আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নতুন গভর্নর আহসান এইচ মনসুর রিজার্ভ বাড়বে বলে আশ্বাস দেন।

গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর থেকে ডলারের দর ১২০ টাকায় স্থিতিশীল রয়েছে। আবার বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভও একটু করে বাড়ছে।

শেয়ার দিয়ে সবাইকে দেখার সুযোগ করে দিন...