নভেম্বর ১৫, ২০২৪

স্বাধীনতার মহানায়ক জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণকে উপজীব্য করে নির্মিত প্রথম শিশুতোষ চলচ্চিত্র ‘মাইক’ সারাদেশের প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাবে আগামী ১১ আগস্ট। এরই মধ্যে সারা ফেলেছে সিনেমাটির পোস্টার, ট্রেইলার, টিজার ও গান। সরকারি অনুদানে নির্মিত মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক চলচ্চিত্রটির প্রচারণায় ব্যস্ত সময় পার করছেন নির্মাতা, অভিনয়শিল্পী ও কলাকুশলীরা। বুধবার (৯ আগস্ট) রাজধানীর ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজ শিক্ষার্থীদের মাঝে মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক চলচ্চিত্র ‘মাইক’-এর প্রচারণা উৎসব অনুষ্ঠিত হয়। উপস্থিত ছিলেন মাইকের অভিনয়শিল্পী চিত্রনায়ক ফেরদৌস আহমেদ, অভিনেত্রী তানভীন সুইটি, নাদের চৌধুরীসহ কলাকুশলীরা।

চিত্রনায়ক ফেরদৌস আহমেদ বলেন, এমন একটি মাসে এমন সময়ে আমরা ‘মাইক’ সিনেমা নিয়ে এসেছি। ‘মাইক’ সিনেমার গল্পের সঙ্গে এ মাসের রয়েছে গভীর সর্ম্পক। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণের উপর দাঁড়িয়েই বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে। যে সময়ের প্রেক্ষাপটে (পঁচাত্তর পরবর্তী) সিনেমাটি তৈরি হয়েছে, যেটি ছিল নিষিদ্ধ সময়। আমাদের ও আমাদের পরবর্তী প্রজন্ম জানতই না যে বঙ্গবন্ধু নামে কেউ আছেন। মাঝেমধ্যে বাবার মুখে শুনতাম শেখ সাহেব এটা করেছে, ওটা করেছে। তোমরা অনেক লাকি যে দেশের সঠিক ইতিহাস জানতে পারছ। তোমরা একটা সুন্দরে সময় বাংলাদেশে জন্মেছ। তোমরা আরও সুন্দর সঠিক ইতিহাস জানতে পারবে ‘মাইক’ সিনেমায়। আমি চাইব, তোমরা তোমাদের পরিবার নিয়ে একসঙ্গে হলে গিয়ে ‘মাইক’ সিনেমা।

এরই মধ্যে সারা ফেলেছে সিনেমাটির পোস্টার, ট্রেইলার, টিজার ও গান। সরকারি অনুদানে নির্মিত মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক চলচ্চিত্রটির প্রচারণায় ব্যস্ত সময় পার করছেন নির্মাতা, অভিনয়শিল্পী ও কলাকুশলীরা।
উৎসবে চিত্রনায়ক ফেরদৌস আহমেদ বলেন, এমন একটি মাসে এমন সময়ে আমরা ‘মাইক’ সিনেমা নিয়ে এসেছি। ‘মাইক’ সিনেমার গল্পের সঙ্গে এ মাসের রয়েছে গভীর সর্ম্পক। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণের উপর দাঁড়িয়েই বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে। যে সময়ের প্রেক্ষাপটে (পঁচাত্তর পরবর্তী) সিনেমাটি তৈরি হয়েছে, যেটি ছিল নিষিদ্ধ সময়। আমাদের ও আমাদের পরবর্তী প্রজন্ম জানতই না যে বঙ্গবন্ধু নামে কেউ আছেন। মাঝেমধ্যে বাবার মুখে শুনতাম শেখ সাহেব এটা করেছে, ওটা করেছে। তোমরা অনেক লাকি যে দেশের সঠিক ইতিহাস জানতে পারছ। তোমরা একটা সুন্দরে সময় বাংলাদেশে জন্মেছ। তোমরা আরও সুন্দর সঠিক ইতিহাস জানতে পারবে ‘মাইক’ সিনেমায়। আমি চাইব, তোমরা তোমাদের পরিবার নিয়ে একসঙ্গে হলে গিয়ে ‘মাইক’ সিনেমা দেখবে।
অভিনেত্রী তানভীন সুইটি বলেন, আমরা মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক একটি শিশুতোষ চলচ্চিত্র নির্মাণ করেছি, যার নাম ‘মাইক’। আমাদের পরের প্রজন্ম আপনারা যারা দেশের বিভিন্ন স্থানে কাজ করবেন- সে জায়গা থেকে এই সিনেমাটি দেখা জরুরি। কারণ আমাদের সঠিক ইতিহাস জানতে হবে। সিনেমাটিতে ’৭৫ পরবর্তী সময়ের গল্প তুলে ধরা হয়েছে। আমি পঁচাত্তর পরবর্তীতে যখন স্কুলে ভর্তি হয়েছি- তখন স্বাধীনতার সঠিক ইতিহাস, যুদ্ধে কি হয়েছিল তা ছিল না। পরবর্তীতে আমরা আস্তে আস্তে পরিবারের কাছে এবং বিভিন্ন জায়গা থেকে জেনেছি। সেই জায়গা থেকে আমরা আমাদের পরের প্রজন্মের কাছে এই অজানা ঘটনাগুলো ‘মাইক’ সিনেমায় তুলে এনেছি। মূলত বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণকে কেন্দ্র করে সিনেমাটি তৈরি করা হয়েছে। যে ভাষণ শুনে লাখো বাঙালি যুদ্ধ করে জয় ছিনিয়ে এনেছিল। তাই সবার প্রতি আমার আহ্বান, মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস জানার জন্য পরিবারের সবাইকে নিয়ে ‘মাইক’ সিনেমাটি দেখবেন।

শিশুশিল্পী মীর্জা ত্বাবীব ওয়াসিত বলেন, আমাদের ‘মাইক’ সিনেমাটি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণকে উপজীব্য করে করা হয়েছে। সিনেমা করার আগে আমি জানতাম না যে স্বাধীনতার পর বঙ্গবন্ধুর এ ভাষণ নিষিদ্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। সিনেমাটি করে আমার এত ভালো লাগছিল যা ভাষায় প্রকাশ করতে পারব না। এখানে যারা আছে আমি সবাইকে অনুরোধ করব, সবাই হলে গিয়ে সিনেমাটি দেখবেন।

লেখক, কলামিস্ট ও সংগঠক এফ এম শাহীনের প্রযোজনায় চলচ্চিত্রটি যৌথভাবে পরিচালনা করছেন এফ এম শাহীন ও হাসান জাফরুল বিপুল। গত ২৯ মে চলচ্চিত্রটি আনকাট সেন্সর ছাড়পত্র পেয়েছিল। ‘মাইক’ চলচ্চিত্রটি দেখে সেন্সরবোর্ডের সদস্যরা ভূয়সী প্রশংসা করেছেন। ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণকে কেন্দ্র করে এ ধরনের সিনেমা নির্মাণকে তারা সাধুবাদ জানিয়েছেন। গত ২৮ মার্চ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র শিক্ষক কেন্দ্র (টিএসসি) অডিটোরিয়ামে চলচ্চিত্রটির বিশেষ প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হয়।
মাইক’ চলচ্চিত্রের গল্পকার, প্রযোজক ও পরিচালক এফ এম শাহীন বলেন, ‘মাইক’ চলচ্চিত্রটি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণকে উপজীব্য করে নির্মিত প্রথম শিশুতোষ চলচ্চিত্র। এই ভাষণকে জাতিসংঘের ইউনেস্কো পৃথিবীর অন্যতম ভাষণ হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। তাকে উপজীব্য করে আশির দশকের প্রেক্ষাপটে চলচ্চিত্রটি নির্মাণ করা হয়েছে। বিশেষ করে নতুন প্রজন্মের কাছে বঙ্গবন্ধুর এ ভাষণ পৌঁছে দিতে আমাদের এ নির্মাণ।

শেয়ার দিয়ে সবাইকে দেখার সুযোগ করে দিন...