

বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরীর মরদেহ কবর থেকে তুলে ডিএনএ টেস্টের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। আজ বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর) হারিছ চৌধুরীর মেয়ে সামিরা তানজিমের অনুরোধে সাড়া দিয়ে বিচারপতি এ এক এম আসাদুজ্জামানের নেতৃত্বাধীন দ্বৈত বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
প্রসঙ্গত, ওয়ান ইলেভেন সরকারের সময় ব্যাপক ধরপাকড় চলাকালে আত্মগোপনে চলে যান বিএনপির প্রভাবশালী এই নেতা। এরপর দীর্ঘদিন খোঁজ মিলছিল না তার। ফলে হারিছ চৌধুরী কোথায়, এ নিয়ে চলতে থাকে বিভিন্ন আলোচনা আর গুঞ্জন।
সবশেষ বছর দুয়েক আগে গণমাধ্যমে খবর আসে, হারিছ চৌধুরী দেশেই আছেন। তবে রয়েছেন আত্মগোপনে। কিছুদিন পর গণমাধ্যমে আরেকটি খবর আসে, ২০২১ সালের ৩ সেপ্টেম্বর মারা গেছেন হারিছ চৌধুরী। তিনি পান্থপথের এক বাসায় নাম পাল্টিয়ে মাহমুদুল হাসান নামে বসবাস করতেন। সাভারের একটি মাদরাসার কবরস্থানে মাহমুদুল হাসান নামেই দাফন করা হয় তাকে।
এবার বাবার মৃত্যুর ধোঁয়াশা কাটাতে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন হারিছ চৌধুরীর মেয়ে সামিরা তানজিম। সব শুনে পরিচয় নিশ্চিতে মাহমুদুল হাসান নামে ওই ব্যক্তির মরদেহ কবর থেকে তুলে ডিএনএ পরীক্ষার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
সামিরার দাবি, তার বাবার মৃত্যুর পরও জীবিত দেখাতে উঠে-পড়ে লাগে একটি মহল। এসব কারণে সামাজিকভাবে প্রশ্নবিদ্ধ করা হয় তার পরিবারকে। তার আইনজীবী বলছেন, হারিছ চৌধুরী একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা। সে কারণে তাকে প্রাপ্য সম্মান দিয়ে দাফন করা উচিত।
হারিছ চৌধুরীর মেয়ে সামিরা আরও জানান, তার বাবার ১১ বছর আত্মগোপনে থাকার সময় বিভিন্ন রকম নির্যাতনের মধ্য দিয়ে যেতে হয়েছে তার পরিবারকে।