অব্যাহত হত্যা, নিপীড়ন এবং অপরাধযজ্ঞের বিরুদ্ধে কয়েকজন ইসরাইলের সেনা আটকের দাবি করেছে ফিলিস্তিনের প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস । এ ছাড়া, ইসরাইলের অন্তত একটি মারকাভা ট্যাংক ধ্বংস করেছে সংগঠনটি।
এই অভিযানকে ফিলিস্তিনের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় অভিযান বলে উল্লেখ করা হচ্ছে। অভিযান শুরুর কিছুক্ষণ পরেই ফিলিস্তিনি সম্মিলিত সেনারা ইসরাইলের বেড়া পেরিয়ে ভেতরে ঢুকে যায় এবং প্রথম ২০ মিনিটের ভেতরেই ৫০০০ রকেট নিক্ষেপ করে।
হামাস নিয়ন্ত্রিত গাজা উপত্যকার গণমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, অভিযানে এ পর্যন্ত ইসরাইলের পাঁচ জন সেনাকে আটক করা হয়েছে।
হামাসের সিনিয়র কমান্ডার মোহাম্মদ দেইফ জানিয়েছেন, এই অভিযান হচ্ছে ইসরাইলের বিরুদ্ধে মহান লড়াই এবং এর মাধ্যমে পৃথিবীতে ইসরাইলি দখলদারিত্বের অবসান ঘটবে। ইসরাইলের জরুরি বিভাগ হামাসের হামলায় এক ইহুদি নিহত ও ১৫ জন আহত হওয়ার কথা জানিয়েছে।
এছাড়া, গাজা উপত্যকাকে বিভক্তকারী ইসরাইলি দেয়ালের পাশে একটি মারকাভা ট্যাংককে আগুনে জ্বলতে দেখা গেছে। সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিওতে দেখা যায়- ওই ট্যাংকের উপর কয়েকজন ফিলিস্তিনি তরুণ আনন্দ প্রকাশ করছে।
ঘটনাস্থল থেকে এক প্রত্যক্ষদর্শী জানিয়েছেন, ওই ট্যাঙ্কে যেসব সেনা ছিল তাদেরকে আটক করে গাজা উপত্যকায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শী ফিলিস্তিনি জানিয়েছেন, খান ইউনুস শহরের সীমান্তে ইসরাইল সেনাদের সঙ্গে ফিলিস্তিনের যোদ্ধাদের লড়াই চলছে।
ইসরাইলের অ্যাম্বুলেন্স সার্ভিস জানিয়েছে, গাজার দক্ষিণাঞ্চলে তারা উদ্ধারীদল এবং ফিলিস্তিনি জনগণকে সতর্কতার সঙ্গে ঘরে থাকতে বলা হয়েছে।
ইসরাইলের যুদ্ধমন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্ট বলেছেন, তিনি রিজার্ভ সেনা তলবের নির্দেশ দিয়েছেন এবং সরকার যুদ্ধের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে।
এদিকে, হামাস ফিলিস্তিনের সমস্ত প্রতিরোধ সংগঠনকে এই যুদ্ধে যোগ দেয়ার আহ্বান জানিয়েছে। এ ছাড়া লেবাননের প্রতিরোধ আন্দোলন হিজবুল্লাকেও যুদ্ধে যোগ দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে হামাস। পার্সটুডে