‘আমরা একটি সুপার মার্কেটে ছিলাম। হঠাৎই রাস্তায় শুরু হয় ইসরাইলি বোমা হামলা। মনে হচ্ছিল গুলিগুলো তড়িৎবেগে আমাদের দিকেই ছুটে আসছে। বিষয়টি খুবই ভয়ংকর ছিল।
সশস্ত্র অপহরণকারী (হামাস) তখন তাদের জীবন বাজি রেখে আমাদের রক্ষা করেছিল’, বক্তব্যটি ৪৮ বছর বয়সি ইসরাইলি জিম্মি আমলোগ গোল্ডস্টেইনের।
বন্দিবিনিময়ে গাজা থেকে মুক্তি পওয়ার পর নিজের এই অভিজ্ঞতা তুলে ধরেন তিনি। শুক্রবার সন্ধ্যায় ইসরাইলি চ্যানেল-১২কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে হামাস সম্পর্কে ইতিবাচক মন্তব্য করেন আমলোগ।
হামাস বাহিনী তাদের আটক বন্দিদের সঙ্গে বেশ সৌহার্দ্যপূর্ণ আচরণ করে। নারী বন্দিদের সঙ্গে সম্মানের সহিত আচরণ করে- এমনটাই বলছিলেন আমলোগ। অনেক সময়ই তারা ভয় পেত হামাস বাহিনী তাদের হত্যা করবে। তখন হামাস সদস্যরা বলত, ‘আপনাদের কিছু হওয়ার আগে আমরা মারা যাব। যদি এমন পরিস্থিতি আসে তবে আমরা একসঙ্গে মরব। কারণ, আমরা আপনার কাছাকাছি আছি, আমরা আপনার সঙ্গে আছি।’ এমনকি নারী বন্দি আমলোগের সঙ্গে করমর্দন করার আগে হামাস বাহিনী একটি তোয়ালে ব্যবহার করেছিল। কারণ, তার সেই নারী বন্দিকে ‘স্পর্শ করার অনুমতি’ ছিল না।
গোল্ডস্টেইনের মেয়ে আগাম (১৭), দুই ছেলে গাল (১১) এবং তাল (৯) তিন সপ্তাহ আগে হামাস কর্তৃক মুক্তি পায়। মেয়ে আগাম সম্পর্কে হামাস বাহিনীর একজন বলেছিলেন, ‘আমরা গাজায় তোমাকে বিয়ে দেব এবং এখানে তোমার জন্য একজন পাত্র খুঁজে বের করব।’ আমলোগ আরও বলেন, তারা তাকে (আগামকে) একটি খুব সুন্দর আরবি নামও দিয়েছেন। তারা তাকে ‘সালসাবিল’ নামে অভিহিত করত, যার অর্থ ‘মিষ্টি পানি’।