নভেম্বর ২৩, ২০২৪

স্যালাইনে কারসাজিকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ এইচ এম সফিকুজ্জামান। তিনি বলেন, ‘স্যালাইনে কারসাজিকারীদের বিরুদ্ধে আগামীকাল মঙ্গলবার (১৪ সেপ্টেম্বর) থেকে অভিযান শুরু করবে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর।

আজ বুধবার (১৩ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর কারওয়ান বাজারে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সভাকক্ষে উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান, পাইকারি, খুচরা বিক্রেতা ও সংশ্লিষ্টদের অংশগ্রহণে এক মতবিনিময় সভায় অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ হুঁশিয়ারি দেন।

এ এইচ এম সফিকুজ্জামান বলেন, আমাদের অভিযানে যদি আমরা দেখতে পাই কোথাও স্যালাইনের স্টক করে রাখা হয়েছে, সেটি আমরা সিলগালা করে দেব। এছাড়া সংশ্লিষ্টদের চিঠি দিয়ে তাদের স্থায়ীভাবে লাইসেন্স বাতিল করা হবে। যারা স্যালাইনের কৃত্রিম সংকট তৈরি করে দাম বাড়িয়েছে, তাদের কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। সেই সব ফার্মেসিগুলো আমরা বন্ধ করে দিতে চাই  ।

স্যালাইনের মূল্য ও সরবরাহ স্বাভাবিক রাখার লক্ষ্যে উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান, পাইকারি, খুচরা বিক্রেতা ও সংশ্লিষ্টদের অংশগ্রহণে এই মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হয়।

স্যালাইনের মূল্য নিয়ে কোথায় সমস্যা তা চিহ্নিত করতে হবে জানিয়ে মহাপরিচালক বলেন, ‘স্যালাইনের গায়ে যেটা লেখা আছে সেটা সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য। এর বাইরে এক টাকাও বেশি বিক্রি করা যাবে না।’

তিনি বলেন, ‘আমরা আজ স্যালাইন সংশ্লিষ্ট সবাইকে সঙ্গে নিয়ে বসেছি। আপনাদের কথা শুনবো, তবে কৃত্রিম সংকটের কথা বলে বাড়তি দাম নেওয়া যাবে না। স্যালাইনের সোর্স আমাদের ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানিগুলোই। স্যালাইন তো আর ভ্যানে বিক্রি হয় না। ডিস্ট্রিবিউশন চেইনের মাধ্যমে ফার্মেসিতে বিক্রি হয়। এটি সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রিত। এটা কিন্তু ডাব বা কাঁচা মরিচ না। খুচরা মূল্য যা লেখা আছে তাই বিক্রি করতে হবে। যতক্ষণ মজুত আছে ততক্ষণ সেই দামেই বিক্রি করতে হবে। স্যালাইন কম আছে আর চাহিদা বেশি আছে এই সুযোগে দাম বাড়ানো যাবে না। আইন অনুযায়ী ভোক্তা প্রতারিত হলে বা তার কাছ থেকে অতিরিক্ত মুনাফা আদায় করা হলে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া আমাদের দায়িত্ব।’

তিনি আরও বলেন, ‘চট্টগ্রামে গত পরশুদিন অভিযান হয়েছে। দুইটা দোকানে অভিযানের পর অনেকে দোকান বন্ধ করে পালিয়ে গেছে। অভিযানের কথা শুনে ফার্মেসি বন্ধ করে রাখবেন সেটাও তো হয় না। স্যালাইনের জন্য মানুষের হাহাকার। অনেকে বলছে, স্যালাইন ফার্মেসির ভেতরে কার্টনে কার্টনে পাওয়া যাচ্ছে।’

সভায় স্যালাইনের মূল্য ও সরবরাহ স্বাভাবিক রাখার লক্ষ্যে উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান, পাইকারি, খুচরা বিক্রেতা ও সংশ্লিষ্টরাসহ স্বাস্থ্য অধিদফতর ও ওষুধ প্রশাসনের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

শেয়ার দিয়ে সবাইকে দেখার সুযোগ করে দিন...