নভেম্বর ২৫, ২০২৪

২৬ বছর আগে চার কোটি ২০ লাখ টাকা অর্থ আত্মসাতের মামলায় সোনালী ব্যাংকের সাবেক তিন কর্মকর্তাসহ চার জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। আজ বুধবার ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-১ এর বিচারক আবুল কাশেমের আদালত এ রায় দেন।

দণ্ড পাওয়া আসামিরা হলেন, সোনালী ব্যাংকের বায়তুল মোকাররম শাখার সাবেক প্রিন্সিপাল অফিসার আজহার হোসেন ও জহিরুল হক চৌধুরী, ক্যাশ অফিসার নাজিম উদ্দিন এবং জনৈক মানিক মিয়া। এদের মধ্যে চার জনকে এক ধারায় পাঁচ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড এবং সাড়ে ৬ কোটি টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায়ে আরও এক বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। রায়ে আরেক ধারায় আসামি নাজিম উদ্দিন, জহিরুল হক ও আজহার হোসেনের পাঁচ বছরের কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত।

রায়ে আদালত আগামী ৩০ আগস্টের মধ্যে অর্থদণ্ডের টাকা রাষ্ট্রের অনুকূলে বাংলাদেশ ব্যাংকের চালানের মাধ্যমে জমা না দিলে তাদের স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ থেকে আদায় করতে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

আসামিদের মধ্যে নাজিম উদ্দিন ও মানিক মিয়া রায় ঘোষণার সময় আদালতে হাজির ছিলেন। রায় শেষে সাজা পরোয়ানা দিয়ে তাদের কারাগারে পাঠান হয়েছে। অপর দুই আসামি পলাতক রয়েছে। আদালত তাদের বিরুদ্ধে সাজা পরোয়ানাসহ গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে।

অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে ১৯৯৮ সালের ১ এপ্রিল সোনালী ব্যাংকের বায়তুল মোকাররম শাখার সহকারী মহা-ব্যবস্থাপক এ এস এম আব্দুল মতিন আনসারী মতিঝিল থানায় মামলা করেন।

মামলার অভিযোগে বলা হয়, আসামিরা ১৯৯৮ সালের ৩১ মার্চ যে কোনো সময় বা এর আগে আসামিরা চার কোটি ২০ লাখ ৭ হাজার ৪২০ টাকা আত্মসাৎ করেন। মামলাটি তদন্ত করে ২০০৯ সালের ২১ জুন দুদকের সহকারী পরিচালক আবুল কাশেম আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। ২০১০ সালের ২৬ আগস্ট আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জগঠন করেন আদালত।

শেয়ার দিয়ে সবাইকে দেখার সুযোগ করে দিন...