নভেম্বর ৫, ২০২৪

প্রতারণার মাধ্যমে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে রাজধানীর মতিঝিল থানায় করা মামলায় সোনালী ব্যাংকের প্রিন্সিপাল অফিসার মো. নাইমুল ইসলামসহ চারজনের বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

আজ মঙ্গলবার (১৭ অক্টোবর) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫ এর বিচারক মো. ইকবাল হোসেন এ রায় ঘোষণা করেন। দণ্ডপ্রাপ্ত অন্য আসামিরা হলেন- সোনালী ব্যাংকের হিসাবধারী রফিকুল ইসলাম, মো. আল আমিন ও মোছা. লিপি বেগম।

কারাদণ্ডপ্রাপ্ত অন্য আসামিরা হলেন- সোনালী ব্যাংকের হিসাবধারী রফিকুল ইসলাম, মো. আল আমিন ও মোছা. লিপি বেগম। রায়ে আসামি নাইমুলের প্রতারণা ও অর্থ আত্মসাতের দুটি পৃথক ধারায় ১৭ বছরের কারাদণ্ড দেন আদালত। পাশাপাশি ৮১ লাখ টাকা জরিমানা করেন। এ ছাড়া তার ৫০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ছয় মাসের সাজা দেওয়া হয়। অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে অপর তিন আসামির পাঁচ বছর করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি প্রত্যেকের ৮১ লাখ টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে।

এদিন কারাগারে আটক আসামি নাইমুল ও রফিকুলকে আদালতে হাজির করা হয়। জামিনে থাকা আল আমিন উপস্থিত হন। তাদের উপস্থিতিতে আদালত এ রায় ঘোষণা করেন। রায় শেষে সাজা পরোয়ানা দিয়ে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়। তবে আসামি লিপি উপস্থিত না থাকায় আদালত তার বিরুদ্ধে সাজাসহ গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন।

মামলার অভিযোগে বলা হয়, ২০১৭ সালের ২৬ ডিসেম্বর থেকে ২০১৮ সালের ২১ জুন পর্যন্ত আসামিরা বিভিন্ন তারিখে এক কোটি ১৯ লাখ ১৯ হাজার ২০৪ টাকা নির্ধারিত হিসাবে জমা না করে চারটি হিসাবে পরস্পর যোগসাজশে স্থানান্তর করে প্রতারণাভাবে আত্মসাৎ করেন। এ ঘটনায় ২০১৮ সালের ২৩ জুন সোনালী ব্যাংকের ওয়াপদা ভবন করপোরেট শাখার ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার মো. মনিরুজ্জামান বাদী হয়ে মতিঝিল থানায় মামলা করেন। তদন্ত শেষে গত ২০২০ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি দুদকের উপ- সহকারী পরিচালক মো. আবুল কালাম আজাদ চারজনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন। পরবর্তী ২০২২ সালের ৮ মার্চ পলাতক লিপি বেগমের অনুপস্থিত আসামিদের বিচার শুরু হয়। মামলাটির বিচার চলাকালীন বিভিন্ন সময়ে ১৭ জন আদালতে সাক্ষ্য দেন।

শেয়ার দিয়ে সবাইকে দেখার সুযোগ করে দিন...