আগের সপ্তাহের মতো বিদায়ী সপ্তাহও পতনে কাটিয়েছে দেশে শেয়ারবাজার।। সপ্তাহটিতে সব ধরণের সূচকই কমেছে। সূচকের সাথে বাজার মূলধনও কমেছে। তবে টাকার পরিমাণে লেনদেন কিছুটা বেড়েছে।
জানা গেছে, আগের সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) বাজার মূলধন ছিল ৭ লাখ ৭৭ হাজার ৪৭৫ কোটি ৪৬ লাখ ৭৬ হাজার ২৩ টাকা। আর বিদায়ী সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস বাজার মূলধন দাঁড়ায় ৭ লাখ ৭৬ হাজার ৭৭৭ কোটি ১৭ লাখ ৮৪ হাজার ৮২২ টাকা। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইতে বাজার মূলধন ৬৯৮ কোটি ২৮ লাখ ৯১ হাজার ২০১ টাকা কমেছে।
সপ্তাহটিতে টাকার পরিমাণে লেনদেন ৫২১ কোটি ৩৭ লাখ টাকা বেড়ে দাঁড়িয়েছে দুই হাজার ৩৩৫ কোটি ৭০ লাখ টাকায়। আগের সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস ডিএসইতে লেনদেন হয়েছিল এক হাজার ৮১৪ কোটি ৩৩ লাখ টাকা।
সপ্তাহটিতে ডিএসইর প্রধান সূচক ২১.৯১ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ছয় হাজার ২৬১.৭২ পয়েন্টে। অপর সূচকগুলোর মধ্যে শরিয়াহ সূচক ৩.৭৯ পয়েন্ট এবং ডিএসই-৩০ সূচক ২.৭০ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে একহাজার ৩৫৫.৮২ পয়েন্টে এবং দুইহাজার ১৩৭.৬৬ পয়েন্টে।
সপ্তাহটিতে ডিএসইতে ৩৬২টি কোম্পানি লেনদেনে অংশ নিয়েছে। এর মধ্যে দর বেড়েছে ৩৭টির বা ১০.২২ শতাংশের, দর কমেছে ১২০টির বা ৩৩.১৫ শতাংশের এবং ২০৫টির বা ৫৬.৬৩ শতাংশের শেয়ার দর অপরিবর্তিত রয়েছে।
অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) প্রধান সূচক সিএএসপিআই ৪৮.৬৮ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ১৮ হাজার ৫৩১.৯০ পয়েন্টে। অন্য সূচকগুলোর মধ্যে সিএসসিএক্স ২৮.৮৮ পয়েন্ট, সিএসই-৩০ সূচক ৩.৬৬ পয়েন্ট, সিএসই-৫০ সূচক ০.১৭ পয়েন্ট এবং সিএসআই ২ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে ১১ হাজার ৭৯.১৬ পয়েন্টে, ১৩ হাজার ৩৫৫.০৭ পয়েন্টে, একহাজার ৩০৬.২৫ পয়েন্টে এবং একহাজার ১৬৫.৭০ পয়েন্টে।
সপ্তাহটিতে সিএসইতে ৬৬ কোটি ৬৯ লাখ ৪৬ হাজার ০১২ টাকার লেনদেন হয়েছে। যা আগের সপ্তাহ থেকে ১৮ কোটি ৯৯ লাখ ৭৬ হাজার ৮৬৮ টাকা কম। আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ৮৫ কোটি ৬৯ লাখ ২২ হাজার ৮৮০ টাকা।
সপ্তাহটিতে সিএসইতে ২৪৮টি কোম্পানি লেনদেনে অংশ নিয়েছিল। এর মধ্যে দর বেড়েছে ৩৭টির বা ১৪.৯২ শতাংশের, দর কমেছে ৮২টির বা ৩৩.০৬ শতাংশের এবং শেয়ার দর অপরিবর্তিত রয়েছে ১২৯টির বা ৫২.০২ শতাংশ কোম্পানির।