

রুশের বিমান হামলায় সিরিয়ার উত্তরপশ্চিমাঞ্চলীয় প্রদেশ ইদলিবে ৩৪ জন নিহত হয়েছেন এবং আহত হয়েছেন আরও ৬০ জন।
স্থানীয় সময় শনিবার (১১ নভেম্বর) রাতে এ হামলা চালায় রাশিয়ার বিমানবাহিনী।
এ ঘটনার সত্যতা যাচাই করেছেনে সিরিয়ায় রুশ সমন্বয় কেন্দ্রের উপ-প্রধান ভাদিম কুলিত। সোমবার (১৩ নভেম্বর) এ খবর জানিয়েছে ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
রাশিয়া দীর্ঘদিন ধরেই আসাদ সরকারকে সমর্থন করে আসছে। আসাদের সমর্থনে নিজেদের সেনাবাহিনী থেকে শুরু করে অস্ত্র পর্যন্ত, সবই দিয়েছে রাশিয়া। এমনকি, সিরিয়ার জন্য জাতিসংঘে কূটনৈতিক সমর্থনও নিশ্চিত করেছে মস্কো।
ভাদিম কুলিত বলেন, ইদলিবে অবৈধ সশস্ত্রগোষ্ঠীগুলোর অবস্থান লক্ষ্য করে রাশিয়ার বিমানবাহিনী হামলা চালিয়েছে। এই গোষ্ঠীগুলো সিরিয়ার সরকারি সেনাদের ওপর দীর্ঘদিন ধরে হামলা চালিয়ে আসছে।
পৃথক জানিয়েছে, রুশ অভিযানে নিহত ও আহতরা সবাই ইরান-সমর্থিত সশস্ত্র সংগঠন ইসলামিক জিহাদের সদস্য বলে এক বিবৃতিতে সিরিয়ার সেনাবাহিনী জানিয়েছেন। ভাদিম কুলিতের দাবি, সিরিয়ান সেনাবাহিনীর অবস্থান লক্ষ্য করে এখন পর্যন্ত সাত দফায় হামলা চালিয়েছে বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলো।
এদিকে, সিরিয়ার ইদলিব ও আলোপ্পোর সরকারনিয়ন্ত্রিত অঞ্চলগুলোতে হামলার জন্য বিদ্রোহীদের দায়ী করেছে সিরীয় সেনাবাহিনী। বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত বিভিন্ন বেসামরিক এলাকায় নির্বিচারে হামলা চালানোর দায়ও অস্বীকার করেছে দেশটির সেনাবাহিনী।
আবার সিরিয়ার সরকার-বিরোধীরা বলছেন, বিশ্বের মনোযোগ এখন গাজার সংঘাতের দিকে। আর সেই সুযোগ খুব ভালোভাবেই নিচ্ছে মস্কো ও দামেস্ক।
সিরিয়ায় আসাদবিরোধীদের সর্বশেষ ঘাঁটি ইদলিব। ২০১৫ সাল থেকে এ শহরের নিয়ন্ত্রণ বিদ্রোহীদের হাতে। তাদের দাবি, এ অঞ্চলের প্রায় ৩০ লাখ মানুষ বাশার আল-আসাদের কর্তৃত্ববাদী শাসনের অধীনে থাকতে নারাজ।
সিরিয়ার সেনাবাহিনী ইদলিব ও আলেপ্পো প্রদেশে সংঘাতের জন্য বিদ্রোহীদের দায়ী করে আসছে। আসাদ বাহিনীর বিরুদ্ধেও এসব অঞ্চলে নির্বিচারে গোলাবর্ষণের অভিযোগ রয়েছে।
২০১৫ সালের অক্টোবর থেকে সিরিয়ার আসাদবিরোধী যোদ্ধাদের বিরুদ্ধে সরাসরি যুদ্ধে নেমেছে রাশিয়া। মস্কোর দাবি, এসব যোদ্ধারা আইএসের সদস্য।
রাশিয়া আসাদকে সিরিয়ার ক্ষমতায় রাখতে চায়। কারণ মধ্যপ্রাচ্যে আসাদ-ই তাদের সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ মিত্র। সিরিয়ায় রাশিয়ার একটি বিমান ঘাঁটি ও একটি নৌঘাঁটি রয়েছে।