নবগঠিত অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ধর্ম মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত উপদেষ্ট অধ্যাপক ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন বলেছেন, ‘সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের জান-মাল, ধর্মীয় উপাসনালয়ের নিরাপত্তা বিধানে বর্তমান সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’
তিনি বলেন, ‘সম্প্রতি দেশের বিভিন্ন স্থানে সংখ্যালঘু সম্প্রদায় নানাভাবে আক্রান্ত হচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে। তাদের মন্দির, উপাসনালয়, ঘরবাড়ি এবং ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে হামলা চালিয়ে এক শ্রেণির দুর্বৃত্ত লুট ও নৈরাজ্য সৃষ্টি করে সরকারকে অস্থিতিশীল করার পায়তারা করছে।’
খালিদ হোসেন কঠোর হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, ‘যারা দুর্বৃত্তপনা ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট করার অপচেষ্টা করবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবে সরকার।’
শনিবার ধর্ম মন্ত্রণালয়ে নিজ কার্যালয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন বলেন, ‘সংখ্যালঘুদের ওপর এ ধরনের সহিংসতা ও হামলা অত্যন্ত নিন্দনীয়, গর্হিত কাজ- যা দেশে নৈরাজ্য সৃষ্টির অপচেষ্টা। বিগত এক মাস ধরে অনেক মাদ্রাসা শিক্ষার্থীসহ ছাত্র-জনতা রাত জেগে সংখ্যালঘুদের উপাসনালয় ও ঘরবাড়ি পাহারায় নিয়োজিত রয়েছেন। আমরা আশা করি, আগামীতেও তারা এভাবে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের সুরক্ষায় পাশে থাকবেন।’
সব ধর্মীয় পক্ষ সহিষ্ণুতার পরিচয় দেবে বলে আশা প্রকাশ করে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ জাতিগত ও ধর্মীয়ভাবে সম্প্রীতি ও সৌহার্দ্যের দেশ। এটি আমাদের সবসময় ধরে রাখতে হবে। এর অন্যথা হলে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বাংলাদেশের ভাবমর্যাদা ক্ষুণ্ণ হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।’