চাঁদাবাজির অভিযোগে নীলফামারীতে সাবেক দুই সংসদ সদস্য, সদর থানা পুলিশের সাবেক ওসি–সাংবাদিকসহ ৬০ জনের নামে মামলা হয়েছে।
সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) চিফ জুডিশিয়াল আমলি আদালত-১ এ মামলাটি দায়ের করেন মো. সৌমিক হাসান সোহান নামে এক শিক্ষার্থী। তিনি শহরের পূর্ব কুখাপাড়ার শামীম হোসেনের ছেলে।
আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে সদর থানা পুলিশকে এফআইআর হিসেবে গ্রহণের জন্য নির্দেশ দেন। মামলায় অজ্ঞাতনামা আরও ৩০০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
মামলায় গত ৪ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার শান্তিপূর্ণ আন্দোলন প্রতিহত করতে অবৈধভাবে দেশীয় অস্ত্রসহ আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার, বলপ্রয়োগ ও গত ১৮ জুলাই থেকে আন্দোলনকারীদের ওপর হামলা-মামলার নামে ভয়ভীতিসহ চাঁদা দাবির অভিযোগ আনা হয়েছে।
আসামিরা হলেন, নীলফামারী-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আসাদুজ্জামান নূর, নীলফামারী-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা আফতাব উদ্দিন সরকার, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক পৌর মেয়র দেওয়ান কামাল আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মমতাজুল হক, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সদর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আবুজার রহমান, সাধারণ সম্পাদক ওয়াদুদ রহমান, জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক ও সদর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান শাহিদ মাহমুদ, পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি মুসফিকুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক আরিফ হোসেন মুন প্রমুখ।
একই মামলায় সদর থানা পুলিশের সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. তানভিরুল ইসলাম, উপ-পরিদর্শক রনি কুমার পাল, জেলা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাবেক সভাপতি আল ফারুক পারভেজ উজ্জ্বল ও দৈনিক জবাবদিহি পত্রিকার নীলফামারী প্রতিনিধি ফেরদৌস আলম চপলকেও আসামি করা হয়েছে।
এ বিষয়ে সদর থানা পুলিশের পরিদর্শক (তদন্ত) এম আর সাঈদ বলেন, মামলাটি এফআইআর হিসেবে গ্রহণের জন্য বিজ্ঞ আদালত থেকে সোমবার নির্দেশনা পেয়েছি। সেটি আদালতের দেওয়া সময়সীমার মধ্যে রেকর্ড করার প্রক্রিয়া চলমান আছে।
এর আগেও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও সহিংসতার অভিযোগে সদর থানার ওসির বিরুদ্ধে একটি এবং জেলা আওয়ামী লীগের নেতাদের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা দায়ের করা হয়।