নভেম্বর ২৩, ২০২৪

সাবেক মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ও লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) সাধারণ সম্পাদক রেদোয়ান আহমেদকে ৩ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে তাকে ৫০ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

আজ সোমবার (১৪ আগস্ট) ঢাকার বিশেষ জজ-২ এর বিচারক মো. আক্তারুজ্জামান এই রায় ঘোষণা করেন। রায় ঘোষণার সময় রেদোয়ান আহমেদ অনুপস্থিত থাকায় তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত।

অপরদিকে বিচারক মুক্তিযোদ্ধা সংসদের মহাসচিব শাহ আলম চৌধুরীকে খালাস দেন। মামলায় ১৫ জন সাক্ষীর মধ্যে বিভিন্ন সময় ১০ জন আদালতে সাক্ষ্য দেন।

দুদকের আইনজীবী মীর আহম্মেদ সালাম বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন।

সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে ২০০৭ সালে ১৯ ডিসেম্বর ২ কোটি ৯৫ লাখ টাকার আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন ও ৪ কোটি ৫ লাখ টাকার সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগ আনা হয়েছিল রেদোয়ান আহমেদের বিরুদ্ধে।

মামলায় অভিযোগে বলা হয়, স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের অধীনে হাট-বাজার থেকে প্রতি বছর যে টাকা মন্ত্রণালয় পায় তার ৪ ভাগ টাকা দুস্থ ও বেকার মুক্তিযোদ্ধাদের সহায়তার জন্য মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিলকে দেয়া হয়, যার পরিমাণ প্রায় ৫ কোটি টাকা। এই টাকা জমা রাখার জন্য সোনালী ব্যাংক মগবাজার শাখায় একটি হিসাব রয়েছে।

২০০২ সালে মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয়ের তৎকালীন প্রতিমন্ত্রী ও মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিলের চেয়ারম্যান রেদোয়ান আহমেদ ও মুক্তিযোদ্ধা সংসদের অর্থসচিব শাহ আলম এই অর্থের জিম্মাদার হিসেবে বহাল থাকাবস্থায় ওই হিসাব থেকে ৫০ লাখ টাকা তুলে আত্মসাৎ করেন বলে মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে।

পরে ২০০৭ সালের ৮ অক্টোবর দুদকের সহকারী পরিচালক মোহা. আবুল হোসেন আসামি রেদোয়ান ও শাহ আলমের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।

শেয়ার দিয়ে সবাইকে দেখার সুযোগ করে দিন...