নভেম্বর ২৭, ২০২৪

কানপুর টেস্টের আগেরদিন আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসরের ঘোষণা দেন সাকিব আল হাসান। জানান যে, টি-২০ থেকে অবসর নিয়ে ফেলেছেন। মিরপুরে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে খেলে টেস্ট খেলে অবসর নেবেন এবং ফেব্রুয়ারিতে পাকিস্তানে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি দিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে পুরোপুরি বিদায় বলবেন।

কিন্তু দেশ সেরা ক্রিকেটার সাকিব প্রত্যাশা মতো মিরপুরে টেস্ট খেলে অবসর নিতে পারছেন না। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের থেকে সবুজ সংকেত পাওয়ায় টেস্ট খেলতে দেশের বিমান ধরেন তিনি। দুবাই পর্যন্ত আসার পর তাকে দেশে না ফিরতে বলা হয়। কিছু ভক্ত বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে বিক্ষোভ করে তাকে মিরপুরে টেস্ট খেলতে না দিতে বিসিবির কাছে স্মারকলিপি দেয়।

পরে বিসিবি দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজের নিরাপত্তা ও সাকিব আল হাসানের নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে সাকিবকে দেশে না ফেরার পরামর্শ দেয়। কথা মতো, সাকিব যুক্তরাষ্ট্রে পরিবারের কাছে ফিরে গেছেন। কিন্তু ঘটনা ওখানেই শেষ হচ্ছে না। ভক্তরা দু’দিন ধরে সাকিবকে মিরপুরে টেস্ট খেলার সুযোগ চেয়ে আন্দোলন করছে।

রোববার মিরপুর স্টেডিয়াম অভিমুখে লং মার্চ করেন সাকিব ভক্তরা। ওই আন্দোলন প্রতিহত করতে আসে সাকিববিরোধীরা। যা এক পর্যায়ে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ায় রূপ নেয়। পরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। বিক্ষোভ-লংমার্চের সুযোগ না পেয়ে সাকিব ভক্তরা আইসিসির দারস্থ হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের সর্বোচ্চ সংস্থার আইসিসির কাছে ভক্তরা গণইমেইল এবং ফেসবুক পেজের মাধ্যমে মেসেজ পাঠাচ্ছে। যে বার্তায় বলা হচ্ছে- সাকিব রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার। তাকে জোর করে অবসরে পাঠানো হচ্ছে এবং মিরপুরে টেস্ট খেলতে দিচ্ছে না। আইসিসির কাছে বিষয়টির তদন্ত দাবি করেছেন ভক্তরা এবং বিসিবি’তে হস্তক্ষেপের মাধ্যমে বিষয়টির সমাধান দাবি করেছেন।

ভক্তদের আশা- গণইমেইল ও মেসেজ পাঠালে আইসিসি বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করবে। যদিও আইসিসি এবিষয়ে কোন পদক্ষেপ নেবে কিনা তা জানা যায়নি। সাধারণত কোন বোর্ডে রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ হলে আইসিসি প্রতিক্রিয়া জানায় এবং হস্তক্ষেপ করে। কিন্তু কোন ক্রিকেটার রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার হয়ে বা অন্য কোন কারণে নিরাপত্তাজনিত কারণে খেলতে না পারলে আইসিসির ব্যবস্থা নেওয়ার কোন সুযোগ নেই।

শেয়ার দিয়ে সবাইকে দেখার সুযোগ করে দিন...