নভেম্বর ৮, ২০২৪

সরকার বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, বিভাগ এবং আওতাধীন দপ্তর ও সংস্থাসমূহের কর্মকর্তাদের প্রাধিকার বহির্ভূত গাড়ি ব্যবহার থেকে কঠোরভাবে বিরত থাকার অনুরোধ করেছে।

সোমবার (০২ সেপ্টেম্বর) প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের পরিচালক (প্রশাসন) এ কে এম মনিরুজ্জামান স্বাক্ষরিত এক পত্রে এ অনুরোধ করা হয়।

এতে বলা হয়, প্রজাতন্ত্রের বেশ কিছু কর্মচরী প্রচলিত বিধি ও প্রাধিকার বহির্ভূতভাবে সরকারি গাড়ি ব্যবহার করছেন। এমনকি কোনও কোনও মন্ত্রণালয় ও বিভাগ যৌক্তিক কোনও কারণ ছাড়াই বিভিন্ন দফতর, অধিদফতর, সংস্থা, ব্যাংক-বীমা, কোম্পানি ইত্যাদি প্রতিষ্ঠান থেকে অধিযাচন করে (চেয়ে) গাড়ি আনা হচ্ছে।

প্রাধিকারপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তাদের সুদমুক্ত ঋণ ও গাড়ি সেবা নগদায়ন নীতিমালা- ২০২০-এর আওতায় গাড়ির ঋণ সুবিধাপ্রাপ্ত কোনও কোনও কর্মকর্তা গাড়ি রক্ষণাবেক্ষণ ব্যয় বাবদ সমুদয় অর্থ (৫০ হাজার টাকা) গ্রহণ করার পরও অনৈতিক ও বিধি বহির্ভূতভাবে বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠানের গাড়ি ব্যবহার করছেন। অথচ ওই নীতিমালার ১৭ অনুচ্ছেদে এ ধরনের অনিয়মের বিষয়টি বন্ধ করার পাশাপাশি সুস্পষ্ট নির্দেশনা রয়েছে।

প্রজাতন্ত্রের কিছু কর্মচারীর প্রাধিকার বহির্ভূত গাড়ি ব্যবহারের এ ধরনের প্রবণতার ফলে একদিকে জনপ্রশাসনে বিশঙ্খলা ও আর্থিক অপচয়ের কারণ ঘটছে।

অন্যদিকে, প্রজাতন্ত্রের কর্মচারীদের নৈতিকতার বিষয়টি প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছে এবং সমাজে তাদের ভাবমূর্তি মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এতে সরকারের দায়িত্ব সচেতনতা সম্পর্কেও জনমনে প্রশ্নবিদ্ধ ধারণা তৈরি হচ্ছে। এসব কারণে সরকার এ বিষয়ে অনমনীয় নীতি গ্রহণ করেছে।

এ অবস্থায়, সরকার বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগ এবং আওতাধীন দফতর ও সংস্থাগুলোর কর্মকর্তাদের প্রাধিকার বহির্ভূত গাড়ি ব্যবহার কঠোরভাবে বারিত করার (বন্ধ করার) অনুরোধ করেছে।

শেয়ার দিয়ে সবাইকে দেখার সুযোগ করে দিন...