দেশের খাদ্য-নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পৃথক দুটি আন্তর্জাতিক দরপত্রের মাধ্যমে এক লাখ মেট্রিক টন গম আমদানির দুটি প্রস্তাবে অনুমোদন দিয়েছে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি। এতে মোট ব্যয় হবে ৩৪৮ কোটি ৪৬ লাখ ৪৪ হাজার ৫০০ টাকা।
বুধবার (২৭ ডিসেম্বর) অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিপরিষদ কমিটির ভার্চুয়াল সভায় প্রস্তাব দুটিতে অনুমোদন দেওয়া হয়। সভাশেষে অনুমোদিত প্রস্তাবগুলো বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব সাঈদ মাহবুব খান।
অতিরিক্ত সচিব বলেন, আন্তর্জাতিক উন্মুক্ত দরপত্রের মাধ্যমে প্যাকেজ-৫ এর আওতায় ৫০ হাজার মেট্রিক টন গম আমদানির একটি প্রস্তাবে অনুমোদন দিয়েছে কমিটি। খাদ্য মন্ত্রণালয়ের এই প্রস্তাবে ব্যয় হবে ১৭৫ কোটি ৫ লাখ ৪৯ হাজার ৫০০ টাকা। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে খাদ্যশস্যের নিরাপত্তা মজুত সুসংহতকরণের লক্ষ্যে ৫০ হাজার মেট্রিক টন গম আমদানির জন্য আন্তর্জাতিক উন্মুক্ত দরপত্র আহ্বান করা হলে ৪টি দরপত্র জমা পড়ে, যা রেসপনসিভ হয়। দরপত্রের সব প্রক্রিয়া শেষে টিইসি কর্তৃক সুপারিশকৃত রেসপনসিভ সর্বনিম্ন দরদাতা প্রতিষ্ঠান সংযুক্ত আরব আমিরাতের মেসার্স সেরিয়েল ক্রপস ট্রেডিং এলএলসি’র কাছ থেকে ১ কোটি ৫৮ লাখ ৭৮ হাজার মার্কিন ডলার সমপরিমাণ (বাংলাদেশি মুদ্রায় ১৭৫ কোটি ৫ লাখ ৪৯ হাজার ৫০০ টাকা) ৫০ হাজার মেট্রিক টন গম আমদানির অনুমোদন দেওয়া হয়। প্রতি কেজি গমের মূল্য ৩৫.০১ টাকা।
সভায় আন্তর্জাতিক উন্মুক্ত দরপত্রের মাধ্যমে প্যাকেজ-৬ এর আওতায় আরও ৫০ হাজার মেট্রিক টন গম আমদানির প্রস্তাবে অনুমোদন দেওয়া হয় বলে জানান অতিরিক্ত সচিব। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে খাদ্যশস্যের নিরাপত্তা মজুত সুসংহতকরণের লক্ষ্যে ৫০ হাজার মেট্রিক টন গম আমদানির জন্য আন্তর্জাতিক উন্মুক্ত দরপত্র আহ্বান করা হলে ৪টি দরপত্র জমা পড়ে। তার মধ্যে ৩টি প্রস্তাব রেসপনসিভ হয়। দরপত্রের সব প্রক্রিয়া শেষে টিইসি কর্তৃক সুপারিশকৃত রেসপনসিভ সর্বনিম্ন দরদাতা প্রতিষ্ঠান সিঙ্গাপুর ভিত্তিক মেসার্স অ্যাগ্রোকরপ ইন্টারন্যাশনাল প্রাইভেট লিমিটেড এই গম সরবরাহ করবে। প্রতি মেট্রিক টন ৩১৫.২৯ মার্কিন ডলার হিসেবে এতে মোট ব্যয় হবে ১ কোটি ৫৭ লাখ ৬৪ হাজার ৫০০ ডলার (বাংলাদেশি মুদ্রায় ১৭৩ কোটি ৪০ লাখ ৯৫ হাজার টাকা)। প্রতি কেজি গমের মূল্য ৩৪.৬৮ টাকা।