অবশেষে সরকার নির্ধারিত দরে ডিম বিক্রি শুরু করেছে প্রান্তিক খামারিদের সংগঠন বাংলাদেশ পোল্ট্রি অ্যাসোসিয়েশন (বিপিএ)। আগামী শুক্রবারের মধ্যে (২০ অক্টোবর) রাজধানী ঢাকা ও এর আশপাশের ২০টি স্থানে পর্যায়ক্রমে ট্রাকসেল থেকে ৪৮ টাকা হালি দরে ডিম কিনতে পারবেন ভোক্তারা।
আজ সোমবার (১৬ অক্টোবর) এ উপলক্ষ্যে রাজধানীর কাওরানবাজারে জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) এ. এইচ. এম. সফিকুজ্জামান ও টিসিবির চেয়ারম্যান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোঃ আরিফুল হাসান-এর উপস্থিতিতে এই কার্যক্রমের উদ্বোধন করা হয়। এসয়ম আরও উপস্থিত ছিলেন প্রান্তিক খামারিদের সংগঠন বাংলাদেশ পোলট্রি অ্যাসোসিয়েশন (বিপিএ) সভাপতি সুমন হাওলাদার।
পরে গণমাধ্যমকে দেওয়া বক্তব্যে বিপিএ সভাপতি সুমন হাওলাদার বলেন, ডিমের বাজারে তদারকি হওয়ার ফলে এখন মুরগির বাচ্চার বাজারে লুটপাট শুরু করেছে করপোরেট সিন্ডিকেট।
ডিম আমদানি করে সমস্যার সমাধান হবে না বলে উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমদানির ফলে প্রান্তিক খামারিরা আতঙ্কিত হয়ে উৎপাদন থেকে সরে যাচ্ছেন। এতে বাজারে ডিমের তীব্র সংকট তৈরি হতে পারে। আমদানি করে হয়তো সাময়িক সমাধান পাওয়া যাবে; কিন্তু এ সমস্যার স্থায়ী সমাধানের জন্য মুরগির বাচ্চা ও খাবারের দাম কমাতে হবে। দাম কমাতে বর্তমানে এ খাতে যেসব কোম্পানি আছে, তাদের সিন্ডিকেট ভেঙে ফেলতে হবে।
সুমন হাওলাদার বলেন, দেশের লাখো ক্ষুদ্র খামারিদের সুরক্ষা না দিলে ভোক্তাদের আরও বেশি দামে ডিম কিনতে হবে। এ সুরক্ষা দেওয়ার দায়িত্ব সরকারের। এই মুহূর্তে দেশে ডিম আমদানির কোনো প্রয়োজন নেই বলেও দাবি করেন এই উদ্যোক্তা।
তিনি আরও জানান, শুরুতে আমরা রাজধানীর ৭টি স্পটে ট্রাক সেলের মাধ্যমে ডিম বিক্রি করব। পর্যায়ক্রমে ট্রাক সেল আরও বাড়ানো হবে। সরকার নির্ধারিত দাম ১২টাকা রাখা হবে প্রতি পিস ডিমের দাম।
এদিকে রাজধানীর বিভিন্ন বাজারে প্রতি পিস ডিমের দাম রাখা হচ্ছে ১৫ থেকে ১৬ টাকা দরে।