

পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত নিম্নচাপটি উত্তর-পূর্ব দিকে অগ্রসর ও ঘনীভূত হয়ে একই এলাকায় গভীর নিম্নচাপে রূপ নিয়েছে। ঝড়ো হাওয়ার শঙ্কায় দেশের সমুদ্র বন্দরগুলোকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, আজ বৃহস্পতিবার সকাল ৬টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৭৮৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৭৪৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, মোংলা সমুদ্র বন্দর থেকে ৬৫৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৬৫৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থান করছিল। এটি আরও উত্তর-পূর্ব দিকে অগ্রসর ও ঘনীভূত হতে পারে।
গভীর নিম্নচাপ কেন্দ্রের ৪৮ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘন্টায় ৫০ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ৬০ কিলোমিটার পর্যন্ত বাড়ছিল। বৃহস্পতিবার (১৬ নভেম্বর) নিম্নচাপ সংক্রান্ত চতুর্থ বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
তবে গভীর নিম্নচাপটি আরও ঘনীভূত হয়ে ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে বলেও জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। আর ঘূর্ণিঝড়টির নাম হবে ‘মিধিলি’।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ কাজী জেবুন্নেসা বলেন, ‘গভীর নিম্নচাপটি এখন যেখানে আছে, সেটি আরও ঘনীভূত হতে পারে। ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে।’
ঘূর্ণিঝড় বা সাইক্লোনে রূপ নিলে বাংলাদেশের কোন উপকূল অতিক্রম করতে পারে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এটি খুলনা-মোংলা হয়ে চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারের দিক দিয়ে অতিক্রম করতে পারে। এখন পর্যন্ত যে অবস্থানে আছে তাতে সেটি গতিপথ পরিবর্তনও করতে পারে।’
ভারতীয় আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্যমতে, মালদ্বীপের দেয়া ‘মিধিলি’ নামের নতুন এই ঘূর্ণিঝড়টি বাংলাদেশ বা ভারতের পশ্চিমবঙ্গের উপকূলেও আঘাত হানার আশঙ্কা রয়েছে। খবর চ্যানেল 24
এ দিকে নিম্নচাপের প্রভাবে সকাল থেকে ঢাকাসহ দেশের বেশির ভাগ অঞ্চলে আকাশ মেঘাচ্ছন্ন রয়েছে। এর ফলে ঢাকা, রাজশাহী, খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের কিছু জায়গায় বৃষ্টি হতে পারে।
নিম্নচাপের কারণে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্কসংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।