নভেম্বর ২৩, ২০২৪

দেশের রাজনৈতিক দলগুলোকে সহিংসতা এড়িয়ে শর্তহীন সংলাপের আহ্বান জানিয়েছেন ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার ডি হাস। মঙ্গলবার (৩১ অক্টোবর) প্রধান নির্বাচন কমিশনারের (সিইসি) সঙ্গে বৈঠক শেষে এ আহ্বান জানান তিনি।

পিটার ডি হাস বলেন, অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের দায়িত্ব নির্বাচন কমিশন, সরকার, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীসহ সবার। যে কোনো পক্ষের সহিংসতার স্থান গণতন্ত্র নেই। আমরা আশা করছি সব পক্ষ শর্তহীন সংলাপে অংশ নেবে। যাতে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য একটি সমাধান বের করা যায়।

মঙ্গলবার সকালে নির্বাচন ভবনে বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পিটার ডি হাসের সঙ্গে বৈঠক শেষে একথা বলেন সিইসি।

এদিন সকালে হঠাৎ করেই নির্বাচন কমিশনে যান পিটার ডি হাস। প্রধান নিবার্চন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়ালের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন তিনি।

বৈঠকের পর সিইসি বলেন, আমরা এবং তারাও (যুক্তরাষ্ট্র) সংলাপে বিশ্বাস করে। তিনি বলেন, ইসির হাতে কোনো অপশন নেই। ইসিকে সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতার অংশ হিসেবে যথাসময়ে নির্বাচন করতে হবে।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি আরো বলেন, এখনো প্রত্যাশা করবো সবগুলো দল অংশ নেবে। নির্বাচন যথা সময়ে হবে আমরা এ ব্যাপারে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ।

সোমবার (৩০ অক্টোবর) কেন্দ্রীয় ১৪ দল আয়োজিত সমাবেশে পিটার হাসকে উদ্দেশ্য করে সাবেক মন্ত্রী হাসানুল হক ইনু বলেন, ‌‘তারা গণতন্ত্রের মুখোশ পরে ঘোরাঘুরি করেন, তারা খুনিদের সহযোগী।’

পিটার হাস আর রাষ্ট্রদূত হওয়ার মর্যাদা রাখেন না তিনি বলেন, ‘কূটনৈতিক শিষ্ঠাচার লঙ্ঘন ও দেশের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে হস্তক্ষেপের কারণে রাষ্ট্রদূতের যোগ্যতা হারিয়েছেন তিনি। তাকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করুন। বন্ধু রাষ্ট্র আমেরিকার (যুক্তরাষ্ট্রের) কাছে নতুন রাষ্ট্রদূত চান।

ইনু বলেন, ‘গাজায় ইসরায়েলি গণহত্যা যেভাবে চলছে মার্কিন সহযোগিতায়, বিএনপি জামায়াত ঠিক একই কায়দায় হামলা করেছে। শনিবার বিএনপি নৃশংসভাবে পুলিশ হত্যা করেছে, পুলিশের বাসে অগ্নিসংযোগ, রাষ্ট্রীয় সম্পদ ধ্বংস করেছে। তারা পরিকল্পিত সন্ত্রাসী-জঙ্গি হামলা চালিয়েছে।’

তিনি বলেন, বিএনপি হলো গণতন্ত্রের মুখোশধারী সন্ত্রাসী দল। জাতীয় ঐক্যের নামে রাজাকার-জঙ্গি-জামায়াতের সঙ্গে কোনো মিটমাট হবে না। নির্বাচনকে জঙ্গিমুক্ত রাখতে পুলিশ হত্যাকারী, বিচারপতির বাসভবনে হামলাকারীদের আটক করে কারাগারে রাখতে হবে। বিএনপিকে নির্বাচনে আসতে হলে সব খুনি, জঙ্গিকে কারাগারে যেতে হবে।’

কেন্দ্রীয় ১৪ দলের সমন্বয়ক আমির হোসেন আমুর সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য দেন সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক দিলীপ বড়ুয়া, জেপি সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম, ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন, আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কামরুল ইসলাম, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমেদ মন্নাফী ও সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবিরসহ ১৪ দলের নেতারা।

শেয়ার দিয়ে সবাইকে দেখার সুযোগ করে দিন...