ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ ও আইসিটি বিভাগের পাশাপাশি টেলিকম ও আইসিটি খাত সংশ্লিষ্ট সকল বেসরকারি অংশীজনদের সঙ্গে নিয়ে প্রতিবছরের মতো এ বছরও বিস্তারিত কর্মসূচির মধ্য দিয়ে পালিত হবে বিশ্ব টেলিযোগাযোগ ও তথ্য সংঘ দিবস।
আজ রোববার সচিবালয়ে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে এ বিষয়ক প্রস্তুতি সভায় প্রতিমন্ত্রী এই নির্দেশনা দেন।
আগামী ১৭ মে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের উদ্যোগে বিশ্ব টেলিযোগাযোগ ও তথ্য সংঘ দিবস পালিত হবে।
ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক সচিবালয়ে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত প্রস্তুতি বিষয়ক সভায় সকল অংশীজনদের অংশ গ্রহণে দিবসটি বিস্তারিত কর্মসূচির মধ্য দিয়ে উদযাপনের নির্দেশনা প্রদান করেন। প্রতিমন্ত্রী ২০০৮ সালের ১২ ডিসেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নের ধারাবাহিকতায় গত ১৫ বছরে বাংলাদেশের অভাবনীয় অগ্রগতির হয়েছে বলে উল্লেখ করেন।
তিনি বলেন, কীভাবে ডিজিটাল উদ্ভাবনে সকলকে সংযুক্ত করতে এবং স্মার্ট বাংলাদেশ বাস্তবায়নের মাধ্যমে টেকসই সমৃদ্ধি অর্জনে সহায়তা করতে পারে তা অন্বেষণের একটি কার্যকর উদ্যোগ হিসেবে বিশ্ব টেলিযোগাযোগ ও তথ্য সংঘ দিবসকে কাজে লাগাতে হবে।
বৈঠকে ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী এআই, সাইবার নিরাপত্তা, রোবটিক্সসহ ভবিষ্যৎ স্মার্ট বাংলাদেশকে তুলে ধরা সহ এবছরের জন্য আইটিইউ নির্ধারিত প্রতিপাদ্যের সাথে সামঞ্জস্য রেখে বাংলায় ‘ডিজিটাল উদ্ভাবন, টেকসই উন্নয়ন নির্ধারণ করেন এবং দিবসটি যথাযথ গুরুত্বের সঙ্গে পালনে বিস্তারিত দিকনির্দেশনা প্রদান করেন।
জুনাইদ আহমেদ পলকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব আবু হেনা মোরশেদ জামান, বিটিআরসির চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মো. মহিউদ্দিন আহমেদ, মেইলিং অপারেটর ও কুরিয়ার সার্ভিস লাইসেন্সিং কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান ড. মো. মহিউদ্দিন, টেলিযোগাযোগ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. সাহাব উদ্দিন, ডাক অধিদপ্তরের মহাপরিচালক তরুণ কান্তি সিকদার, বিটিসিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আনোয়ার হোসন , টেলিটক বাংলাদেশ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক একেএম হাবিবুর রহমান, বাংলাদেশ সাবমেরিন ক্যাবল লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মির্জা কামাল আহম্মদসহ ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের অন্যান্য সংস্থা সমূহের কর্মকর্তা এবং এমটব ও আইএসপিএবির প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।