বৃহস্পতিবার (১৭ আগস্ট) ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আসাদুজ্জামান নুর এ রায় ঘোষণা করেন।
শফিক রেহমান ও মাহমুদুর রহমান ছাড়া এ মামলায় দণ্ডপ্রাপ্ত বাকি তিন আসামি হলেন: জাতীয়তাবাদী সামাজিক সাংস্কৃতিক সংস্থার (জাসাস) সহসভাপতি মোহাম্মদ উল্লাহ মামুন, তার ছেলে রিজভী আহাম্মেদ ওরফে সিজার এবং যুক্তরাষ্ট্রপ্রবাসী ব্যবসায়ী মিজানুর রহমান ভূঁইয়া।
দণ্ডপ্রাপ্তদের এক ধারায় পাঁচ বছর এবং আরেক ধারায় দুই বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। এ ছাড়া প্রত্যেককে পাঁচ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড, অনাদায়ে আরও এক মাসের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।
আসামিরা পলাতক থাকায় তাদের বিরুদ্ধে সাজাসহ গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত।
প্রধানমন্ত্রীর ছেলে ও তার উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়কে অপহরণ ও হত্যাচেষ্টা ষড়যন্ত্রের অভিযোগে ২০১৫ সালের ৩ আগস্ট পল্টন থানায় মামলা করেন ডিবির পরিদর্শক ফজলুর রহমান। দণ্ডবিধির ৩০৭ এবং ১২০-বি ধারায় আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়।
মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, ২০১১ সালের সেপ্টেম্বরের আগে যেকোনো সময়ে জাসাস নেতা মোহাম্মদ উল্লাহসহ বিএনপি ও বিএনপির নেতৃত্বাধীন জোটভুক্ত দলের উচ্চপর্যায়ের নেতাসহ আসামিরা ঢাকা শহরের পল্টনের জাসাস কার্যালয় ও যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক শহর ও যুক্তরাজ্যের বিভিন্ন এলাকায় একত্র হয়ে বৈঠকে অংশ নেন। তারা সজীব ওয়াজেদ জয়কে যুক্তরাষ্ট্রে অপহরণ করে হত্যার ষড়যন্ত্র করেছিলেন। অপরাধ ঘটানোর দায়িত্ব দেয়া হয় রিজভী আহাম্মেদকে।
২০১৮ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি ৫ আসামির বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দেয় পুলিশ।
উল্লেখ্য, নিউইয়র্কে জয়কে অপহরণ ও হত্যার পরিকল্পনা হয়েছিল। সেখানে এরই মধ্যে এই মামলার বিচার হয়েছে। মামলার রায়ে সেখানকার বিএনপি নেতার ছেলে রিজভী আহাম্মেদ সিজারের ৪২ মাসের কারাদণ্ড হয়। এ ছাড়া ঘুষ লেনদেনের জন্য এফবিআইয়ের এক এজেন্টের বন্ধুর ৩০ মাসের কারাদণ্ড হয়।