![](https://thebiz24.com/wp-content/uploads/2024/11/d3e2157ff2f4df82a602ac26b61c67639575d6a0c4b9c5cd.jpg)
![](https://thebiz24.com/wp-content/plugins/print-bangla-news/assest/img/print-news.png)
বিশ্বে ২০২৩ সালে ঘনিষ্ঠ সঙ্গী ও স্বজনদের হাতে প্রতিদিন গড়ে ১৪০ জন নারী ও মেয়ে খুন হয়েছেন। সোমবার (২৫ নভেম্বর) জাতিসংঘের দুটি সংস্থার প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, গত বছর ঘনিষ্ঠ সঙ্গী ও স্বজনদের হাতে খুন হওয়া নারী ও মেয়েদের বৈশ্বিক সংখ্যা ৫১ হাজার ১০০। এই সংখ্যা আগের তুলনায় বেড়েছে। বিশ্বজুড়ে ২০২২ সালে এ সংখ্যা ছিল ৪৮ হাজার ৮০০।
ইউএন ওমেন এবং জাতিসংঘের মাদক ও অপরাধসংক্রান্ত দফতর তাদের এক প্রতিবেদনে সঙ্গী ও স্বজনদের হাতে নারী ও মেয়েদের খুন হওয়া বেড়ে যাওয়ার এ তথ্য প্রকাশ করেছে।
এতে বলা হয়েছে, লৈঙ্গিক সহিংসতার চরম রূপের প্রভাব থেকে বিশ্বের কোনো অঞ্চলই বাদ নেই। অর্থাৎ, বিশ্বের সব অঞ্চলেই নারীদের ওপর এমন সহিংস ঘটনা ঘটছে।
নারীর বিরুদ্ধে সহিংসতা রোধের আন্তর্জাতিক দিবসে প্রকাশিত এই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সংখ্যার এই বৃদ্ধি মূলত বিভিন্ন দেশগুলো থেকে পাওয়া আরও তথ্যের কারণে বেড়েছে, হত্যার সংখ্যা বেড়েছে এমনটি নয়।
জাতিসংঘের দুটি সংস্থাই জোর দিয়ে বলেছে, ‘সর্বত্র নারী ও কিশোরীরা লিঙ্গভিত্তিক সহিংসতার শিকার হচ্ছে এবং কোনো অঞ্চলই আর বাদ নেই। বাড়ি নারী ও মেয়েদের জন্য সবচেয়ে বিপজ্জনক স্থান।’
এ বিষয়ে ইউএন ওমেনের উপ-নির্বাহী এক্সিকিউটিভ নায়ারাদজায়ি গুমবোঞ্জভান্দারের মতে, ‘সংকীর্ণ লৈঙ্গিক মনোভাব আর সামাজিক নিয়মের মতো স্থায়ী সামাজিক সমস্যাগুলো এর বড় কারণ। এসব হত্যাকাণ্ড নারীর ওপর ক্ষমতা প্রয়োগের সঙ্গে জড়িত।’
প্রতিবেদন অনুযায়ী, আফ্রিকার দেশগুলোয় নারীদের ওপর এমন ঘটনা বেশি, নিহতের সংখ্যাও বেশি। ২০২৩ সালে আফ্রিকায় ২১ হাজার ৭০০ নারী ও মেয়ে ঘনিষ্ঠ সঙ্গী ও স্বজনদের হাতে খুন হয়েছেন। অর্থাৎ, প্রতি লাখে এ সংখ্যা ২ দশমিক ৯ জন। এর বিপরীতে সংখ্যাটি আমেরিকায় লাখে ১ দশমিক ৬ জন, ওশেনিয়ায় ১ দশমিক ৫ জন, এশিয়ায় দশমিক ৮ জন এবং ইউরোপে দশমিক ৬ জন।