নব্বই দশকের জনপ্রিয় বলিউড অভিনেত্রী পূজা ভাট। একাধারে তিনি পরিচালক-প্রযোজকও। বাবা মহেশ ভাটের হাত ধরে বলিউডে পা রাখেন পূজা। ব্যক্তিগত জীবনে মনীষ মাখিজার সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়েছিলেন। কিন্তু ২০১৪ সালে বিয়েবিচ্ছেদ হয় তাদের।
১১ বছরের দাম্পত্য জীবন নিয়ে মুখ খুলেলেন পূজা ভাট। সম্প্রতি বিগ বস ওটিটির প্রতিযোগী জিয়া শঙ্করের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। এসময় পূজা ভাট বলেন, ‘সত্যিই যদি তুমি আমাকে জিজ্ঞাসা করো আমার জীবনের সবচেয়ে খারাপ সময় কোনটা ছিল, তাহলে বলব আমার ১১ বছরের বিয়ে ভেঙে দেওয়া, স্বামীকে ডিভোর্স দেওয়ার সময় ভীষণ খারাপ সময় কাটিয়েছি। তবে এই সিদ্ধান্ত সম্পূর্ণ আমার ছিল। আমি নিজেকে মিথ্যা বলতে পারিনি। কারণ সেসময় বিয়েটা আমি আর চালিয়ে নিতে চাইনি।’
স্বামীর সঙ্গে খুবই ভালো সম্পর্ক ছিল পূজার। তারপরও ডিভোর্স দেওয়ার কারণ ব্যাখ্যা করে পূজা ভাট বলেন, ‘আমার মনে হয়েছিল, আমি আমার জীবনটা আমার মতো করে স্বাচ্ছন্দ্যে বাঁচতে চাই। আমার ১০-১১ বছরের সম্পর্ক যেমন আছে, ওটাকে তেমন জায়গায় রেখে বের হয়ে আসতে চাই। আমার স্বামী খারাপ মানুষ ছিলেন না। আমাদের মধ্যে যা কিছু ছিল, সব ঠিকঠাকই ছিল। তারপরও আমার মনে হয়েছিল নিজেকে হারিয়ে ফেলছি। আমার জীবনটা অন্য কারোর উন্নতির জন্য ছিল না।’
বিয়েবিচ্ছেদের পর খুবই কষ্ট পেয়েছিলেন পূজা। সেই স্মৃতি হাতড়ে এ অভিনেত্রী বলেন, ‘১১ বছরের সংসার ভেঙে যাওয়ার পর যে কষ্ট পেয়েছি, সেটা মৃত্যুর মতোই মনে হয়েছিল। লোকজন আপনাকে জিজ্ঞাসা করবেন আপনি ঠিক আছেন তো? তখন আপনাকে ওদের খুশি করার মতো করেই উত্তর দিতে হবে। আর তারপর আপনি নিজের জীবনের দুঃখ ভুলতে অ্যালকোহলের পেছনে লুকিয়ে পড়বেন। সেসময় আমি নিজেকে মুক্ত করতে গিয়ে আরো খারাপ পথে পা বাড়িয়েছিলাম।’
দীর্ঘ দিন মদ্যপানে আসক্ত ছিলেন পূজা ভাট। তা স্মরণ করে তিনি বলেন, ‘সেসময় আমি নিজেই একপ্রকার নিজেকে পুলের জলে ঠেলে ফেলে দিয়েছিলাম, তারপর একদিন আবারো আমার মধ্যে নতুন করে বেঁচে থাকার প্রবৃত্তি ফিরে এলো, একদিন নিজেই মদ্যপান করা ছেড়ে দিলাম, তারপর থেকে আর মদের বোতলে কোনো দিন হাত দিইনি।’