ডিসেম্বর ২৭, ২০২৪

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের সংশোধিত আইনে বিচার করা যাবে তিন বাহিনীর সঙ্গে পুলিশ ও র‍্যাবের। এমই সঙ্গে কেউ বিদেশে অপরাধ করলেও ট্রাইব্যুনালে বিচার করা যাবে। তবে ট্রাইব্যুনালে রাজনৈতিক দলের বিচারের বিধান রাখা হয়নি।

আজ সোমবার (২৫ নভেম্বর) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের সামনে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন প্রসিকিউটর আইনজীবী গাজী মোনাওয়ার হুসাইন তামিম।

ট্রাইব্যুনালের সংশোধিত আইনে আরও যেসব পরিবর্তন আসলো সেগুলো হলো-
(১) সেকশন ১ এ আগে এখতিয়ার ছিল শুধু বাংলাদেশে। এখন এখতিয়ার বাংলাদেশ সহ বাংলাদেশের বাহিরেও।

(২) সেকশন ২ এর ক্লজ aa এর পরিবর্তে নতুন রূপে ডিসিপ্লিনড ফোর্স বলতে সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী, বিমান বাহিনী, পুলিশ র‍্যাব, বিজিবি, কোস্ট গার্ড আনসার বা আইনের দ্বারা সৃষ্ট অন্য কোন ফোর্সকে বুঝাবে।

(৩) সেকশন ৩ (২) এর ক্লজ এ তে মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ বলতে নতুন কিছু যোগ হয়েছে যেমন forcible transfer of population, sexual exploitation, enforced disappearance, human trafficking, sexual slavery, enforced prostitution, forced pregnancy, enforced sterilisation।
গণহত্যার অর্থ থেকে পলিটিকাল গ্রুপ বাদ গেছে। উক্ত সেকশনের ২ এর ( g ) তে incitement শব্দটি যুক্ত হয়েছে

(৪) সেকশন ৪ এ liability of crimes বিস্তৃত ব্যাখ্যা করা হয়েছে।

(৫) নতুন সেকশন ৯ এ যুক্ত করা হয়েছে। ট্রাইব্যুনাল ইচ্ছা করলে অডিও ভিজুয়াল শুনানির ব্যবস্থা করতে পারেন।
Advertisement

(৬) নতুন সেকশন ১০ বি যুক্ত হয়েছে। সেখানে বিদেশি পর্যবেক্ষকদের থাকার অনুমতি দেয়া হয়েছে।

(৭) সেকশন ১১ এর নতুন subsction 7 ও 8 সৃষ্টি করা হয়েছে। এখানে বলা হয়েছে unavoidable circumstances এর জন্য ট্রাইব্যুনাল সন্তুষ্ট হলে ক্ষতিগ্রস্ত এবং সাক্ষীদের ভার্চুয়াল হেয়ারিং নিতে পারবেন।

(৮) সেকশন ১৯ (১) এর পরিবর্তে বিস্তারিত ব্যাখ্যা করা হয়েছে। সেখানে অডিও ভিডিও ডিভিডি সিসিটিভি হার্ডওয়ার সফটওয়্যার অথবা অন্য কোন ডিজিটাল ডিভাইস সম্পর্কে বলা হয়েছে যেগুলো ট্রাইব্যুনালে উপস্থাপন করা যাবে।

(৯) সেকশন ২১ : অন্তর্বর্তী আদেশের বিরুদ্ধে আপিল করতে পারবে শুধু ট্রাইব্যুনাল অবমাননার শাস্তির বিরুদ্ধে। আপিল বিভাগে আবেদন পেন্ডিং থাকলে ট্রাইব্যুনাল মামলা চালিয়ে যাবেন সে কথাও বলা হয়েছে।

শেয়ার দিয়ে সবাইকে দেখার সুযোগ করে দিন...