নভেম্বর ১৪, ২০২৪

পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, শোকের মাসকে প্রত্যয় নিয়ে আমরা শক্তি অর্জন করতে চাই। শোককে শক্তিকে রুপান্তর করে সকল অপশক্তিকে রুখে আগামীতেও আমরা বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় আনবো।

বৃহস্পতিবার (৩১ আগস্ট) বিকেল সন্ধা ৭টায় তেজগাঁও কলেজ অডিটোরিয়ামে শোক দিবসের এক আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কথা বলেন।

জাতীয় শোক দিবেস উপলক্ষ্যে শোকের মাসের শেষ দিন আলোচনা সভা ও দোয়া অনুষ্ঠানের আয়োজন করে বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন। স্বাগত বক্তব্য রাখেন বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশনের নির্বাহী সভাপতি ড. মশিউর মালেক।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে আব্দুল মোমেন জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমান ও বঙ্গবন্ধু পরিবারের সকলের রুহের মাগফেরাত কামনা করেন।

তিনি বলেন, জাতির পিতাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে। আজকে অনেকে অনেক কথা বলে। তখন কিন্তু পৃথিবীর কোনো দেশ মানবতার গান গায়নি। কেউ তাদের মৃত্যুতে শোকবার্তা দেয়নি। আজকে বিভিন্ন দেশ সতর্ক বার্তা দেন। কিন্তু এতগুলো লোক নৃশংসভাবে মৃত্যু বরণ করল তাতে কোনো কথা নেই। পরিবারের চারজন ভাগ্যবশত বেঁচে গেছে৷ তবে আল্লাহর মেহেরবানী বঙ্গবন্ধু কন্যা ঘাতকদের বিচারের ব্যবস্থা করেছেন। কিন্তু দুঃখের বিষয় পিতা হত্যার ৬ বছর পর্যন্ত তিনি দেশে ফিরতে পারেনি। বাপের বিচারের জন্য কোথাও যেতে পারেননি।
ইনডেমনিটি আইনের কথা উল্লেখ্য করে পরারাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, হত্যাকারীদের বিচার করা যাবে না এমন আইনও আমরা দেখেছি। এটা আমাদের জন্য লজ্জার। বাঙালি জাতির উচিত ছিল হত্যাকারীদের বিচারের ব্যবস্থা করা। আমরা সেটা পারিনি। এরপর ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা করা হয়। সৌভাগ্যক্রমে সেদিনও জননেত্রী শেখ হাসিনাসহ অনেক শীর্ষ নেতৃত্ব বেঁচে যান কিন্তু ২৪ জন মানুষ সেদিন নির্মমভাবে নিহত হয়েছেন। যারা এসব সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের রাজনীতি করে আমরা সেই সন্ত্রাসী গোষ্ঠীকে ক্ষমতায় দেখতে চাই না। বিএনপি জামায়াতকে আমরা চিনি।
মোমেন বলেন, দেশে বিদেশে বিভিন্নরকম ষড়যন্ত্র হচ্ছে। তার থেকে আপনারা সাবধান থাকবেন। জনগণ চাইলে আমরা থাকবো, না চাইলে থাকবো না। তবে আমরা দেশটাকে জিহাদীদের হাতে তুলে দিতে চাই না। সন্ত্রাসীদের হাতে তুলে দিতে চাই না। সুখের বিষয় বর্তমানে শেখ হাসিনার সরকারের ১৪ বছরে দেশের অভাবনীয় উন্নয়ন হয়েছে। অনেক অনেক দেশ থেকে আমরা এখন অর্থনীতিতে অনেক ভালো আছি। বিশ্বে আমরা সম্মানীয় অবস্থানে আছি। এগুলো হয়েছে বাংলাদেশের জনগণের জন্যে, শেখ হাসিনার নেতৃত্বের জন্যে। সুতরাং শেখ হাসিনাকে পুনরায় ক্ষমতায় আনতে হবে।

সভায় প্রধান আলোচক ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সদস্য ও বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট নুরুল ইসলাম ঠান্ডু, বিশেষ আলোচক ছিলেন সাবেক সচিব মো. শহিদ উল্লাহ খন্দকার। এছাড়াও সভায় তেজগাঁও কলেজের অধ্যক্ষ ড. হারুন অর রশিদ শুভেচ্ছা বক্তব্য প্রদান করেন। আলোচনা সভা শেষে বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের মাগফেরাত কামনায় বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত করা হয়।

সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে বেগম মতিয়া চৌধুরী বলেন, একাত্তরের ১৫ আগস্ট সভ্যতার সমস্ত রীতি নীতি বিসর্জন দিয়ে সপরিবারের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যা করা হয়। শিশু শেখ রাসেলকেও হত্যা করা হয়, গর্ভিনী নারীকেও পর্যন্ত নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। আজকে যারা ক্রান্তিকালের কথা বলছে তারা সেদিন চুপ করে ছিল। তাদের প্রতি ঘৃণার থুথু।
সভায় আরো বক্তব্য রাখেন সাবেক সাংসদ মুক্তিযোদ্ধা মনিরুল ইসলাম মনি, সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা

মনিরুজ্জামান, বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন সুপ্রিমকোর্ট বার সভাপতি এডভোকেট গৌরঙ্গ চন্দ্রকর,
বরগুনা জেলা কমিটির আহ্বায়ক জামাল বিশ্বাস, ঢাকা মহানগর উত্তর সভাপতি ড. এ এইচ এম মাহবুবুর রহমান,যুব ও ক্রীড়া সম্পাদক টিপু সুলতান, সাহিত্য সম্পাদক শাহানা জেসমিন, মহিলা আওয়ামী লীগ ওয়াশিংটনের সভাপতি মহাসিনা জান্নাত রীনি, বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশনের ভারত শাখা সভাপতি মীর শামীম, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সদস্য রেজাউল করীম প্রমুখ।

শেয়ার দিয়ে সবাইকে দেখার সুযোগ করে দিন...