দিনাজপুরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে অংশগ্রহণকারীদের হত্যা ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। গত শুক্রবার (১৩ সেপ্টেম্বর) দুপুরে কতোয়ালী থানায় এই মামলা দায়ের করেছেন মো. ফাহিম ফয়সাল নামের এক শিক্ষার্থী। রোববার (১৫ সেপ্টেম্বর) দিনাজপুর কতোয়ালী থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফরিদ হোসেন মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মামলার বাদী ফাহিম ফয়সাল দিনাজপুর সদর উপজেলার রাজবাটি এলাকার এবিএম সিদ্দিকের ছেলে। তিনি দিনাজপুর সরকারি সিটি কলেজ থেকে গত বছর উচ্চ মাধ্যমিক সম্পন্ন করেছেন।
শেখ হাসিনা ছাড়াও মামলার উল্লেখযোগ্য আসামিরা হলেন, দিনাজপুর আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ইকবালুর রহিম, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান ইমদাদ সরকার, শেখপুরা ইউপি চেয়ারম্যান মোমিনুল ইসলাম, চেহেলগাজী ইউপি চেয়ারম্যান জর্জিস সোহেল, শশরা ইউপি চেয়ারম্যান মো. রানা, আওয়ামী লীগ নেতা শাহ আলম, বিশ্বজিৎ ঘোষ, আবু ইবনে রজব, মনিরুজ্জামান জুয়েল, সাবেক পৌর কমিশনার আবু তৈয়ব আলী দুলাল, যুবলীগ নেতা আনোয়ার হোসেন, নওশাদ ইকবাল কলিন্স, রমজান, আইনজীবী শাহাজাদা।
মামলা এজাহারে বলা হয়েছে গত ৪ ও ৫ জুলাই সারাদেশের ন্যায় দিনাজপুরেও বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে অংশ নেন শিক্ষার্থীরা। এই আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রীসহ সড়ক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের আওয়ামী লীগসহ দলের বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনকে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের প্রতিহত করার আহ্বান জানান। উক্ত আন্দোলনের অংশ হিসেবে গত ৪ আগস্ট দুপুরে দিনাজপুর জেনারেল হাসপাতাল মোড় এলাকায় শিক্ষার্থীর ও সাধারণ মানুষ শান্তিপূর্ণভাবে আন্দোলন কনছিল। এ সময় আসামিগণ পূর্ব পরিকল্পিতভাবে পিস্তল, বন্দুক, ২৪ রিভালবার একনালা বন্দুক, দুইনালা বন্দুক, সামুরাই, হাসুয়া, ছোড়া, ধারালো চাকুসহ বিভিন্ন অস্ত্র-সস্ত্রে সু-সজ্জিত হইয়া আন্দোলনকারীদের ওপর চড়াও হয়। তাদের গুলিতে মামলার বাদী ফাহিমের মাথার মুখ-মন্ডল, পায়ে, বুকে, হাতেসহ শরীরের বিভিন্নস্থানে গুলি লাগে।
দিনাজপুর কতোয়ালী থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফরিদ হোসেন বলেন, ফাহিম ফয়সাল নামের এক শিক্ষার্থী একটি মামলা দায়ের করেছেন। বাদী নিজেই আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছেন। মামলাটি হত্যার উদ্দেশ্যে গুরুতর আঘাতসহ বিভিন্ন ধারায় করা হয়েছে।