সারাদেশে বিনম্র শ্রদ্ধায় ভাষা শহীদদের স্মরণ করেছে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ। দিবসের প্রথম প্রহরে প্রভাতফেরিতে অংশ নিতে বের হন হাজার হাজার মানুষ। বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতিক ও পেশাজীবী সংগঠন শহিদ মিনারগুলোতে শ্রদ্ধা নিবেদন করে।
কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে প্রথমে ফুল দিয়ে ভাষা শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ফুল দেওয়ার পর দলীয় নেতাদের নিয়ে শহীদ বেদিতে ফুল দেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।
রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা নিবেদনের পর শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান জাতীয় সংসদের স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী, প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী, জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার শামসুল হক টুকু।
এরপর তিন বাহিনীর প্রধানদের মধ্যে সেনাবাহিনী প্রধান সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ, নৌবাহিনী প্রধান অ্যাডমিরাল এম শাহীন ইকবাল, বিমানবাহিনী প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল শেখ আব্দুল হান্নান শহীদ বেদীতে ফুল দেন।
ঢাকার বিভিন্ন মিশনের কূটনীতিকরাও ফুল নিয়ে হাজির হন শহীদ মিনারে। শ্রদ্ধা জানান মন্ত্রিপরিষদের সদস্য, ভাষাসৈনিক, মুক্তিযুদ্ধের সেক্টর কমান্ডার এবং মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিলের নেতারা।
এছাড়া বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দলের (বাসদ) কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে কালোপতাকা উত্তোলন ও জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখা হয় এবং সকাল ৭ টায় পলাশী মোড়ে জমায়েত শেষে প্রভাতফেরি করে কেন্দ্রীয় শহীদমিনারে। শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণকালে উপস্থিত ছিলেন বাসদের কেন্দ্রীয় কমিটির সহকারী সাধারণ সম্পাদক কমরেড রাজেকুজ্জামান রতন, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য কমরেড জুলফিকার আলী, ঢাকা মহানগর নেতা খালেকুজ্জামান লিপন, মাঈন উদ্দিন চৌধুরী, শাহজাহান কবীর, জাকির হোসেন, রুখসানা আফরোজ আশা, আনোয়ারুল ইসলাম।
এদিকে ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছে সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট। সকাল সাড়ে ৮ টায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পুষ্পমাল্য অর্পণ করেন কমিটির সভাপতি মুক্তা বাড়ৈ, সাধারণ সম্পাদক শোভন রহমান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি রাজীব কান্তি রায়, সাধারণ সম্পাদক সুহাইল আহমেদ শুভ।
চারণ সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের পক্ষ থেকে সংগঠনের সহ-সভাপতি শাহজাহান কবীর, সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন, সদস্য আব্দুল্লাহ আল মামুন তাজু ও শোভন রহমানের নেতৃত্বে সকাল সাড়ে ৮টায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।