ডিসেম্বর ২২, ২০২৪

পুরো রমজানই রহমত-বরকতের মাস। তবে কিছু কিছু মুহূর্তে বান্দার প্রতি তা প্রবল বেগে ধাবিত হয়। ইফতারের সময়টিও এমন। তাই এ সময়ের দোয়া আল্লাহ বিশেষভাবে কবুল করেন।

নবীজি বলেন, ইফতারের সময় রোজাদারের একটি দোয়া ফিরিয়ে দেওয়া হয় না। অর্থাৎ কমপক্ষে একটি দোয়া অবশ্যই কবুল হয়। (সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদিস ১৭৫৩)

এ হাদিসের বর্ণনাকারী হজরত আবদুল্লাহ ইবনে আমর ইবনুল আস (রা.) ইফতারের সময় এ দোয়া করতেন

اللّهُمّ إِنِّي أَسْأَلُكَ بِرَحْمَتِكَ الّتِي وَسِعَتْ كُلّ شَيْءٍ أَنْ تَغْفِرَ لِي
.
অর্থ: আয় আল্লাহ, আমি আপনার সর্বব্যাপী রহমতের ওসিলায় প্রার্থনা করছি, আপনি আমাকে ক্ষমা করে দিন। (সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদিস ১৭৫৩)

এজন্য ইফতারের একটি আদব হচ্ছে, সময় হওয়ার কিছুক্ষণ আগে ইফতার প্রস্তুত করে আল্লাহমুখি হওয়া, বেশি বেশি দোয়া-দরূদ পড়া, তওবা-ইস্তিগফার করা। আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করা।

নামাজ, সেহরি ও ইফতারের সময়সূচি

ইফতারের মুহূর্তটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি মুহূর্ত। এ সময়ে আল্লাহ তায়ালা অসংখ্য জাহান্নামীকে মুক্তি দান করেন।

নবীজি বলেন, আল্লাহ তায়ালা প্রত্যেক ইফতারের সময় অনেক জাহান্নামীকে মুক্ত করে থাকেন এবং এটা প্রতি রাতে করেন। (সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদিস ১৬৪৩)

তাই এ মুহূর্তে নিজের জন্য এবং আত্মীয়-স্বজন ও বন্ধু-বান্ধবের জন্য, পাশাপাশি সকল মরহুম মুমিন মুসলমানের জন্য মাগফিরাতের দোয়ায় মশগুল থাকা কাম্য।

ইফতারের পূর্ব মুহূর্তে বেশি বেশি দোয়া ও ইসতিগফার করা উচিত। হাদিস শরীফে এসেছে, ইফতারের সময় রোজাদারের দোয়া ফিরিয়ে দেওয়া হয় না। (ইবনে মাজাহ, হাদিস: ১৭৫৩)

হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলে কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, তিন ব্যক্তির দোয়া ফিরিয়ে দেওয়া হয় না: ১. রোজাদারের দোয়া ইফতার করা পর্যন্ত ২. ন্যায়পরায়ণ বাদশাহের দোয়া ও ৩. মাজলুমের দোয়া।

আল্লাহ তায়ালা তাদের দোয়া মেঘমালার উপরে উঠিয়ে নেন এবং এর জন্য আসমানের দরজাসমূহ খুলে দেওয়া হয়। আর আল্লাহ তায়ালা বলেন, আমার ইজ্জতের কসম! বিলম্বে হলেও আমি অবশ্যই তোমাকে সাহায্য করব।

মুসনাদে আহমদ, হাদিস: ৯৭৪৩; জামে তিরমিযী, হাদিস: ৩৫৯৮; ইবনে হিব্বান, হাদিস: ৩৪২৮; ইবনে মাজাহ, হাদিস: ১৭৫২

শেয়ার দিয়ে সবাইকে দেখার সুযোগ করে দিন...