ইউক্রেনে হামলার প্রতিবাদে রাশিয়ার ওপর ১৩তম নিষেধাজ্ঞা আরোপের পদক্ষেপ অনুমোদন করেছে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) সদস্যদেশগুলো। মস্কোকে অস্ত্র সংগ্রহে সহায়তা করা এবং ইউক্রেনের শিশুদের অপহরণে জড়িত প্রায় ২০০ প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তিবর্গের ওপর এ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হবে। খবর আল-জাজিরার
ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ভন ডার লিয়েন সোশ্যাল মিডিয়ায় লিখেছেন, আমি রাশিয়ার বিরুদ্ধে আমাদের ১৩তম নিষেধাজ্ঞা প্যাকেজের চুক্তিকে স্বাগত জানাই। আমাদের অবশ্যই পুতিনের আগ্রাসনের বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যেতে হবে।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের পররাষ্ট্রনীতির প্রধান জোসেপ বোরেল বলেছেন, নিষেধাজ্ঞার তালিকায় নতুন করে ২০০ জন ব্যক্তি ও সংস্থা যুক্ত হয়েছে। শুরু থেকে এ পর্যন্ত মোট সংখ্যা ২ হাজারে পৌঁছেছে।
বোরেল এক্সে (টুইটারে) লিখেছেন, এই প্যাকেজের মাধ্যমে আমরা গোয়েন্দা, প্রতিরক্ষা এবং সামরিক খাতে জড়িত সংস্থাগুলোর বিরুদ্ধে আরও ব্যবস্থা নিচ্ছি।
ইউরোপীয় ইউনিয়ন সম্প্রতি চীন, উজবেকিস্তান, ইরান এবং সংযুক্ত আরব আমিরাত ভিত্তিক সংস্থাগুলোকে লক্ষ্যবস্তু করেছে। যেগুলো ইইউয়ের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করছে বলে অভিযোগ রয়েছে।
ইইউর বর্তমান প্রেসিডেন্ট দেশ বেলজিয়াম। স্যোশাল মিডিয়া এক্সে বেলজিয়াম বলেছে, ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসনের কর্মকাঠামোর আওতায় ১৩তম নিষেধাজ্ঞা প্যাকেজ অনুমোদনে ইইউ রাষ্ট্রদূতরা নীতিগতভাবে সম্মত হয়েছে।
ইইউ কূটনৈতিক কয়েকটি সূত্র বলেছে, ইইউ দেশগুলোতে কাজ করা কিংবা ভ্রমণ নিষিদ্ধ হওয়া ১৯৩ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের তালিকায় যোগ হবে নতুন নিষেধাজ্ঞায় পড়া প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তিরা।
রাশিয়ার সামরিক ও প্রতিরক্ষা বাহিনীর বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান এবং ইউক্রেনের শিশু অপহরণ কিংবা পাচারে জড়িতদের বিষয়টি নজরে রেখে নতুন নিষেধাজ্ঞার তালিকা তৈরি করা হয়েছে। এ তালিকায় আরও আছে উত্তর কোরিয়ার একটি ফার্ম এবং বেলারুশের একটি ফার্মও।
২৪ ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসনের দ্বিতীয় বর্ষপূর্তির সময়ের মধ্যে এই নিষেধাজ্ঞা প্যাকেজটি আনুষ্ঠানিকভাবে অনুমোদন করা হবে।