ডিসেম্বর ২২, ২০২৪

গাজার দক্ষিণে অবস্থিত গুরুত্বপূর্ণ শহর রাফাহ। অবরুদ্ধ অঞ্চলটির ছোট্ট শহরটিতে ১৪ লাখ বাস্তুচ্যুতের বাস। গাজার ‘লাইফলাইন’ হিসেবে পরিচিত শহরটি এখন ইসরাইলের যুদ্ধ ময়দান।

মঙ্গলবার থেকে স্থানটিকে নিজেদের নিয়ন্ত্রনে নিয়ে নিয়েছে ইসরাইলি সেনারা। সীমান্তের কাছে পতাকা ঝুলিয়ে এ বিষয়ে জানান দিয়েছে তেল আবিব। যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবের মাঝেই শহরটিতে হামলা চালাচ্ছে তারা। ফলে প্রাণ বাঁচাতে কোনোরকম এদিক-ওদিক ছুটছে বাস্তচ্যুতরা। সবকিছু ফেলে রাফাহ কেন ইসরাইলের টার্গেট-এটাই এখন প্রশ্ন। দ্যা গার্ডিয়ান, এপি।

ইসরাইলের দাবি, রাফাহ সীমান্তকে ফিলিস্তিনিরা সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের জন্য ব্যবহার করছে। এছাড়াও সশস্ত্রবাহিনী হামাসও সেখানেই অবস্থান করছে বলে তারা মনে করেন। ফলে হামাস নির্মূলে রাফাহ সীমান্তে আবারও হামলা জোরদার করছে ইসরাইল বাহিনী।

এছাড়াও ভোগলিক অবস্থান থেকে বিবেচনা করলেও রাফাহ ফিলিস্তিনিদের জন্য গুরত্বপূর্ণ শহর। গাজা উপত্যকা ও মিসর সীমান্তবর্তী অঞ্চলে শহরটি অবস্থিত। মিসরের দিক থেকে এটি উত্তর সিনাইয়ের প্রশাসনিক শহর। রাফাহ সীমান্ত দিয়েই গাজার অভ্যন্তরে বেশিরভাগ ত্রান সামগ্রী প্রবেশ করে। এমনকি অবরুদ্ধ অঞ্চলটি থেকে পালাতেও রাফাহ সীমান্তটি ব্যবহার করতে হয়। সবকিছু মিলিয়ে যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবে একমত না হওয়ায় রাফাহকে আবারও টার্গেট করেছে ইসরাইলি সেনারা।

বুধবার জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস বলেছেন, রাফাহ-তে পূর্ণ মাত্রায় হামলা হবে একটি ‘মানবিক বিপর্যয়’।

অন্যদিকে জাতিসংঘের শিশু বিষয়ক সংস্থা, ইউনিসেফ সতর্ক করেছে যে রাফাহ-এর স্থল আক্রমণ শিশুদের জন্য বিপর্যয়কর ঝুঁকি তৈরি করবে। ইউনিসেফের নির্বাহী পরিচালক ক্যাথরিন রাসেল।

তিনি বলেন, রাফাহ এখন শিশুদের শহর, যাদের গাজায় যাওয়ার জন্য কোথাও নিরাপদ নেই। যদি বড় আকারের সামরিক অভিযান শুরু হয়, তবে শিশুরা কেবল সহিংসতার ঝুঁকিতে থাকবে না, বরং বিশৃঙ্খলা ও আতঙ্কের ঝুঁকিতে থাকবে এবং এমন সময়ে যেখানে তাদের শারীরিক ও মানসিক অবস্থা ইতিমধ্যেই দুর্বল হয়ে পড়েছে।

একজন মুখপাত্র বলেছেন, ‘রাফাহ সীমান্ত বন্ধ করার ফলে হাসপাতালের জন্য প্রয়োজনীয় ওষুধ, চিকিৎসা সরঞ্জাম এবং জ্বালানি বহনকারী ট্রাকগুলির প্রবেশে বাধা দেওয়া হয়েছে। ’

শেয়ার দিয়ে সবাইকে দেখার সুযোগ করে দিন...