বয়স বাড়তে শুরু করলেই মন খারাপের আভাস মেলে অনেকের চেহারায়। কারণ বয়স বাড়লে তার ছাপও রেখে যায়। আবার অনেকে আছেন যাদের বয়সের আগেই দেখতে বয়স্ক লাগে। আসলে নিজের প্রতি যত্নের অভাবসহ আরও অনেক অনিয়ম এর জন্য দায়ী থাকে বেশিরভাগ সময়। বয়স তো বাড়বেই, তাই বলে নিজেকে দেখতে উজ্জ্বল লাগবে না? ৪০ পার হলেও আপনাকে দেখতে লাগবে ঠিক ২৫ এর মতো। সেজন্য নিতে হবে সঠিক উপায়ে যত্ন। আর এই কাজে আপনাকে সাহায্য করতে পারে কফি। কীভাবে? চলুন জেনে নেওয়া যাক-
কফি কেন ত্বকের জন্য উপকারী?
কফিতে থাকে প্রচুর অ্যান্টি অক্সিড্যান্ট। এটি ত্বক ভালো রাখতে সাহায্য করে। এতে থাকা ক্যাফিন, পলিফেনলের মতো উপাদান ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখতে সাহায্য করে। তাই ঘরে তৈরি কফির ফেসমাস্ক আপনার ত্বক ভালো রাখতে কার্যকরী ভূমিকা রাখবে। ন্যাশনাল লাইব্রেরি অফ মেডিসিনে প্রকাশিত গবেষণায় বলা হয়েছে, কফির অ্যান্টি অক্সিড্যান্ট উপাদান ক্ষতিকারক ফ্রি ব়্যাডিকালসকে বাধা দেয়। ফলে ত্বকে তৈরি হয় সুরক্ষাপ্রলেপ। যে কারণে আমাদের ত্বক দূষণ, ধোঁয়া ও রোদের হাত থেকে রক্ষা পায়।
কফি ও মধুর ফেসপ্যাক
মধুতে থাকে অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল উপাদান। সেইসঙ্গে এটি ত্বক ময়েশ্চারাইজ করতেও কাজ করে। মধুর অ্যান্টি অক্সিড্যান্ট বৈশিষ্ট্য ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে কাজ করে। ফলে ত্বক টানটান থাকে, বলিরেখা পড়ে না। ১ টেবিল চামচ কফির সঙ্গে ১ টেবিল চামচ খাঁটি মধু মিশিয়ে নিন। এবার তার সঙ্গে মেশান ২ টেবিল চামচ টক দই। ভালো করে মিশিয়ে নিয়ে মিশ্রণটি আলতো হাতে মুখে লাগিয়ে নিন। এভাবে অপেক্ষা করুন মিনিট ত্রিশেক। এরপর ধুয়ে নিন। নিয়মিত ব্যবহারে পরিবর্তনটা নিজেই টের পাবেন।
কফি ও কোকোয়ার ফেসমাস্ক
মুখের অতিরিক্ত তেল নিয়ন্ত্রণে কাজ করে কফি ও কোকোয়ার ফেসমাস্ক। সেইসঙ্গে ত্বকের টানটান ভাব বজায় থাকে। ত্বক কোমল থাকার কারণে দেখতেও সুন্দর লাগে। কোকোয়ায় থাকা পলিফেনল ত্বককে অতিবেগুনি রশ্মির ক্ষতিকারক প্রভাব থেকে রক্ষা করে। ফেসমাস্ক তৈরির জন্য ২ টেবিল চামচ কফি পাউডার, ২ টেবিল চামচ কোকোয়া পাউডার, ৩ টেবিল চামচ টকদই ও ১ টেবিল চামচ মধু নিন। সবগুরো উপাদান ভালো করে মিশিয়ে মুখে লাগিয়ে নিন। তবে চোখের চারপাশে লাগাবেন না। এরপর অপেক্ষা করুন ১৫ মিনিটের মতো। এবার পরিষ্কার পানিতে ধুয়ে নিন।