সেপ্টেম্বর ২০, ২০২৪

চীনে তিব্বতের ১০ লাখের বেশি শিশুকে বিভিন্ন বোর্ডিং স্কুলে পাঠানো হয়েছে৷ অনেক ক্ষেত্রে জোরও করা হয়েছে বলে গত ফেব্রুয়ারিতে জানিয়েছে জাতিসংঘের তিন বিশেষজ্ঞ। ইচ্ছে না থাকা সত্ত্বেও তিব্বতের ঐ শিশুদের চীনের হান সংস্কৃতিতে বড় করে তোলা এই কর্মসূচির লক্ষ্য বলে মনে করছেন ঐ বিশেষজ্ঞরা৷

তারা জানান, স্কুলগুলোতে মান্দারিন ভাষায় লেখাপড়া করানো হয়৷ এছাড়া পাঠ্যসূচিতে তিব্বতের সংস্কৃতির কোনো উল্লেখ নেই৷

তিব্বতে এমন শিক্ষা কর্মসূচির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সাবেক ও বর্তমান চীনা কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ভিসা নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে বলে মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়৷

দুই দেশের মধ্যে কূটনৈতিক আলোচনা পুনরায় শুরু হওয়া সত্ত্বেও মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন বলেন, চীনের ‘জবরদস্তিমূলক’ নীতি ‘তিব্বতের তরুণ প্রজন্মের মন থেকে তিব্বতের স্বতন্ত্র ভাষাগত, সাংস্কৃতিক এবং ধর্মীয় ঐতিহ্যগুলো দূর করতে চায়’৷ এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, ‘আমরা পিআরসি কর্তৃপক্ষকে তিব্বতের শিশুদের সরকার পরিচালিত বোর্ডিং স্কুলে জোর করে ভর্তি করানো এবং দমনমূলক আত্তীকরণনীতি বন্ধ করার অনুরোধ করছি৷’ বিবৃতিতে জাতিসংঘের ঐ তিন বিশেষজ্ঞের প্রতিবেদনের কথাও উল্লেখ করেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী৷

ওয়াশিংটনে চীনা দূতাবাসের মুখপাত্র লিউ পেংইউ বলেন, চীনের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের এমন অভিযোগ ‘চীন-মার্কিন সম্পর্ককে গুরুতরভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করে৷ আন্তর্জাতিক রীতি অনুযায়ী, স্থানীয় শিক্ষার্থীদের চাহিদা মেনে চীনে বোর্ডিং স্কুল স্থাপন করা হয়৷’

চীনা দূতাবাসের ঐ মুখপাত্র বলেন, চীনের জাতিগত সংখ্যালঘু অঞ্চলগুলোতে বোর্ডিং স্কুল ধীরে ধীরে স্কুল পরিচালনার একটি গুরুত্বপূর্ণ পদ্ধতিতে পরিণত হয়েছে৷ একটি নির্দিষ্ট কর্তৃপক্ষের অধীনে স্কুলগুলো পরিচালিত হওয়ায় জাতিগত সংখ্যালঘু শিক্ষার্থীদের অনেক পথ পাড়ি দিয়ে স্কুলে যেতে যে সমস্যা হত, তারও সমাধান হয়েছে৷ সূত্র: ডিডাব্লিউ, এএফপি, রয়টার্স

শেয়ার দিয়ে সবাইকে দেখার সুযোগ করে দিন...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *