নভেম্বর ২৬, ২০২৪

মধ্যপ্রাচ্যে ইরান সমর্থিত সংগঠনগুলোর হামলা বাড়ার প্রেক্ষাপটে মার্কিন বাহিনীর আকাশ প্রতিরক্ষা জোরদারের লক্ষ্যে আরও ৯০০ সেনা পাঠাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার পেন্টাগন সূত্রে এ তথ্য জানা যায়। খবর রয়টার্সের।

পেন্টাগন মুখপাত্র ব্রিগেডিয়ার জেনারেল প্যাট্রিক রাইডার সাংবাদিকদের বলেন, ইসরায়েল-হামাসের মধ্যকার চলমান যুদ্ধকে কেন্দ্র করে ইরাক ও সিরিয়ায় যুক্তরাষ্ট্র ও তাদের সমর্থিত জোটের সেনাদের ওপর হামলা বেড়েছে। গত সপ্তাহে ইরাকে মার্কিন সেনারা কমপক্ষে ১২ বার হামলার শিকার হয়েছেন; সিরিয়ায় তাদের ওপর হামলা হয়েছে চারবার। সব মিলিয়ে ২১ জন মার্কিন সেনা আহত হয়েছেন। অনেকে ট্রমার কারণে মানসিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন।

গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে যুদ্ধ শুরু হলে ইরান সমর্থিত সশস্ত্র সংগঠনগুলোকে ঠেকাতে যুক্তরাষ্ট্র মধ্যপ্রাচ্যে রণতরী ও যুদ্ধবিমান পাঠায়। এর মধ্যে দুটি বিমানবাহী রণতরীও রয়েছে। এরই মধ্যে মধ্যপ্রাচ্যে কয়েক হাজার মার্কিন সেনা আছে। রাইডার জানান, বৃহস্পতিবারও ইরাকে মার্কিন সেনাদের লক্ষ্য করে হামলা হয়েছে। তবে ওই হামলা ব্যর্থ হয়। যে সংগঠন এ হামলার দায় স্বীকার করেছে, তার নাম তিনি উল্লেখ করেননি। তবে এটি ইরান সমর্থিতদের কাজ বলে জানান তিনি।

সম্প্রতি রয়টার্স আরেকটি প্রতিবেদনে জানায়, ইরান সমর্থিত সংগঠনগুলোর হামলা বাড়ায় যুক্তরাষ্ট্র মধ্যপ্রাচ্যে তাদের সেনাদের সুরক্ষায় নতুন পদক্ষেপ নিচ্ছে। এ ক্ষেত্রে সেনাদের পরিবারের সদস্যদের প্রয়োজনে অন্যত্র সরিয়ে নেওয়ার বিষয়টিও খোলা রেখেছে যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন কর্মকর্তারা জানান, এসব পদক্ষেপের মধ্যে রয়েছে– মার্কিন সেনাদের টহল বাড়ানো, ঘাঁটিগুলোতে অন্যদের প্রবেশ সীমিত করা এবং ড্রোন ও গোয়েন্দা তৎপরতা বাড়ানো। এ ছাড়া সেনা ঘাঁটির গার্ড টাওয়ার থেকে পর্যবেক্ষণ বাড়ানো; ঘাঁটির প্রবেশপথেও নিরাপত্তা জোরদারসহ সম্ভাব্য ড্রোন, রকেট ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা মোকাবিলায় পাল্টা অভিযান জোরদার করা হয়েছে।

নতুন এ সেনা সদস্যরা মধ্যপ্রাচ্যে যুক্তরাষ্ট্রের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা টার্মিনাল হাই আল্টিটিউট এরিয়া ডিফেন্স (থাড) ও প্যাট্রিয়ট ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থায় কাজ ক

রবেন।

 

শেয়ার দিয়ে সবাইকে দেখার সুযোগ করে দিন...