নভেম্বর ১০, ২০২৪

আমরা যা অঙ্গীকার করি সেটা রাখি। আজকে তার প্রমাণ। শুধু দলের জন্য না, আজকে বাংলাদেশের মানুষের জন্য করতে যাচ্ছি। সেটাই আত্মতুষ্টির বিষয় জানিয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

আজ (বৃহস্পতিবার) সকালে সর্বজনীন পেনশন কর্মসূচির উদ্বোধন করে তিনি এসব কথা বলেন।

শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের সরকারি চাকরিজীবীরা পেনশন পান। যারা চাকরি করে না তারা তো পান না। কাজেই এটা সরকারি চাকরিজীবীর জন্য নয়। যারা সরকারি চাকরি করেন, বেতন পান, তাদের জন্য এটা প্রযোজ্য হবে না। সরকারি চাকরির বাইরে যে জনগোষ্ঠী, শুধুমাত্র তাদের জন্য এই ব্যবস্থাটা আমরা করেছি। এটা করে তারা সম্মানজনকভাবে বাঁচতে পারে। যার ফলে মানুষের মধ্যে যে বৈষম্য আছে সেটাও দূর হবে।

তিনি বলেন, ১৯৯৬ সালে যখন আমরা সরকারে আসলাম, তখন সর্বজনীন মানুষের জন্য কী করতে পারি সেই বিষয়ে চিন্তা করতে থাকলাম। ২০০৮-এ নির্বাচনী ইশতেহারে আমরা সর্বজনীন পেনশন স্কিমের সিদ্ধান্ত নিই। এটা করার জন্য যথেষ্ট সময় লাগে। তখন মানুষের আর্থসামাজিক অবস্থাও খারাপ ছিল। তখন মানুষের মাথাপিছু আয় ছিল নিম্নস্তরে। অধিকাংশ মানুষ দরিদ্র সীমার নিচে বাস করতো।

প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, মানুষ যখন বৃদ্ধ হয়, আয় রোজগারের সক্ষমতা থাকে না, অথবা অসুস্থ হয়ে কাজ করতে পারে না, সেই সময় অন্তত একটা সুরক্ষা থাকবে। অনেক সময় বয়স্ক ব্যক্তিটা পরিবারের কাছে বোঝা হয়ে যায়। আসলে আমাদের ছেলে-মেয়েই দেখতে চায় না। এই অবস্থায় বৃদ্ধরা যাতে অসহায় না হয়, সেই লক্ষ্য নিয়ে আমরা বয়স্ক ভাতা, বিধবা ভাতা চালু করেছিলাম। আজ আমরা পেনশন স্কিম চালু করে দিলাম।

শেয়ার দিয়ে সবাইকে দেখার সুযোগ করে দিন...