গ্যাসের অভাবে জামালপুরের যমুনা সার কারখানায় উৎপাদন বন্ধ থাকায় আমন ও বোরো মৌসুমে সারের সংকটর হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। আমদানিকৃত সার দিয়ে সারাদেশে ইউরিয়ার চাহিদা মেটাতে হচ্ছে সরকারকে।
এছাড়া, দীর্ঘদিন কারখানা বন্ধ থাকায় যন্ত্রাংশ নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। এর সাথে নানাভাবে জড়িত হাজারো শ্রমিক হয়ে পড়েছে বেকার। কারখানায় কবে নাগাদ উৎপাদন শুরু হবে, তা কর্তৃপক্ষও জানেন না।
১৯৯১ সালে জামালপুর জেলার তারাকান্দিতে প্রতিষ্ঠা করা হয় দৈনিক ১ হাজার ৭০০ মেট্রিক টন ইউরিয়া উৎপাদনের ক্ষমতা সম্পন্ন যমুনা সার কারখানা। যা সচল রাখতে প্রতিদিন প্রয়োজন ৪৫ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস। তবে জ্বালানি সংকটের কারণে যোগান দেয়া সম্ভব সর্বোচ্চ ৩ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাসের। এ কারণে ৭ মাসেরও বেশি সময় ধরে বন্ধ রয়েছে যমুনা সার কারখানা।
গ্যাস সরবরাহ কবে নাগাদ স্বাভাবিক হতে পারে সে বিষয়ে অনিশ্চিত কারখানা কর্তৃপক্ষ। জামালপুর যমুনা সার কারখানার এমডি আবু সালেহ মো. মোসলেহ উদ্দীন জানান এই কারখানা থেকে সার সংগ্রহ করে থাকেন ২১ জেলার প্রায় আড়াই হাজার ডিলার। আগামী বোরো ও আমন মৌসুমের আগে কারখানা চালু না হলে সারের সংকট দেখা দিতে পারে। যাতে উৎপাদন বাধাগ্রস্ত হবে বলে আশঙ্কা কৃষকের।
এদিকে, সার উৎপাদন বন্ধ থাকায় কর্মহীন হয়ে মানবেতর জীবন কাটাতে হছে কারাখানা সংশ্লিষ্ট হাজারো মানুষকে। তাই গ্যাস সংযোগ দিয়ে যমুনা সার কারখানা চালু করার মাধ্যমে হাজারো শ্রমিক ও অসংখ্য কৃষষকে সংকট থেকে রক্ষা করার দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা।