যথাযথ আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হলে পাচার করা অর্থ ফেরানো কঠিন হবে না বলে মনে করেন আইনজীবী ও আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞরা। তারা বলছেন, দুর্নীতি প্রতিরোধ ও আন্তঃদেশীয় অপরাধ সংক্রান্ত্র জাতিসংঘের দুটি সনদে স্বাক্ষরকারী দেশ হিসেবে বাংলাদেশকে সব ধরনের সহায়তা করতে বাধ্য সংশ্লিষ্ট দেশগুলো। বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে দুটি বাজেটের সমপরিমাণ টাকা পাচার হয়েছে। কিন্তু এ বিষয়ে কার্যকর কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি।
যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক গবেষণাপ্রতিষ্ঠান গ্লোবাল ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেগ্রিটির জিএফআই হিসাব অনুযায়ী, গত ১৫ বছরে শেখ হাসিনা সরকারের সময় বাংলাদেশ থেকে পাচার হয়েছে প্রায় ১৪ লাখ কোটি টাকা।
বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ, এই অর্থ ফেরাতে সরাসরি অর্থ মন্ত্রণালয়ের অধীনেই দক্ষ ব্যক্তিদের দিয়ে কমিশন বা টাস্কফোর্স গঠন করার। পরে দেশীয় ও আন্তর্জাতিক আর্থিক গোয়েন্দাদের সমন্বয়ে পাচারকারী, পাচারের গন্তব্য ও অর্থের পরিমাণসহ প্রয়োজনীয় তথ্য সংগ্রহ করে নিতে হবে আইনি পদক্ষেপ। সে ক্ষেত্রে পাচার করা দেশেও চালাতে হবে আইনি লড়াই।
ইউনিভার্সিটির জ্যেষ্ঠ অধ্যাপক ড. মাসুম বিল্লাহ বলেন, ‘ডিপ্লোম্যাটিক প্রভাব দিয়ে এখানে সেখানে যোগাযোগ করে সময় নষ্ট না করে আমাদের লিগ্যাল ফ্রেমওয়ার্কে এগোতে হবে। কূটনৈতিক যোগাযোগ আমরা সম্পূরক হিসেবে ব্যবহার করতে পারি।
পাচার করা অর্থ উদ্ধার হলে কেবল দেশের অর্থনীতিতে প্রভাব নয় আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও দেশের মর্যাদা বাড়বে বলে তিনি মনে করেন।
বাংলাদেশ এ সংক্রান্ত জাতিসংঘের দুটি কনভেনশনে স্বাক্ষরকারী দেশ হিসেবে আন্তর্জাতিক সব আইনি সুবিধা পাবে বলেও জানান আইনজীবীরা।
সুপ্রিমকোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী আহসানুল করিম বলেন, ‘দেশের বাইরে টাকা পাঠিয়ে তা ব্যবহার করে মানুষজন এক ধরনের স্বস্তিতে ছিল। সেখানে অস্বস্তি তৈরি করতে পারলে আমার মনে হয়, বিদেশে পাচার হওয়া টাকা ফেরানো সম্ভব।’