ডিসেম্বর ২২, ২০২৪

ধেয়ে আসছে প্রবল ঘূর্ণিঝড় “মোখা”। নোয়াখালীর দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ার সুখচর ইউনিয়নের চরগাসিয়ায় দীর্ঘ ১০ বছর ধরে ১৭ হাজার মানুষ বসবাস করে আসলেও প্রাকৃতিক দূর্যোগে তাদের সুরক্ষার কোনো ব্যবস্থা এখনও গড়ে ওঠেনি।

প্রতি বছর ঘূর্ণিঝড় ও বন্যায় ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়তে হয় এ চর গাসিয়ার বাসিন্দাদের, ঘট প্রাণহানীও। এতো কিছুর পরও এখন পর্যন্ত নেওয়া হয়নি দ্বীপের মানুষের সুরক্ষার কোনো ব্যবস্থা। চলতি মাসের ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’ নিয়ে সংকিত এ চরের বসিন্দারা।

প্রায় দুই যুগ আগে বঙ্গোপসাগরের বুকে জেগে উঠা এ চরটিতে ২০১৩ সালে জনবসতি শুরু হয়। বর্তমানে ৭টি সমাজে বিভক্ত ৮হাজার পরিবার এ চরে বসবাস করছেন প্রায় ১৭ হাজার মানুষ। বন্যা, ঝড়, জলোচ্ছার্সের মতো সকল প্রাকৃতিক দূর্যোগের আগেও পরে কোন প্রকার সরকারি সহযোগিতা ছাড়াই মোকাবেলা করতে হয় স্থানীয় বাসিন্দাদের।

চরটির চার পাশের কোন পাশেই বেড়ি বাঁধ নেই তাই জলোচ্ছ্বাস ও বন্যায় সহজে চরটিতে পানি ডুকে পড়ে। জোয়ারের পানিতে প্লাবিত হয় ১২ বর্গ কিলোমিটারের এ চর।

সূখচর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আলা উদ্দিন জানান, ঝড় জলোচ্ছ্বাস মোকাবেলায় মসজিদের মাইকে সতর্ক করা ছাড়া আর কোন উপায় থাকে না। আশ্রয়কেন্দ্র না থাকায় দূর্যোগকালীন মুহুর্তে কাউকে নিরাপদে আশ্রয় দেওয়া যায় না। চরের চার পাশে বেড়ীবাঁধ না থাকায় সম্পূর্ণ ঝুঁকিতে থাকে তারা। দূর্যোগ মোকাবেলায় এসব চরে বেড়ীবাঁধ নির্মাণের পাশাপাশি আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণের দাবি করেন তিনি।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. কায়সার খসরু জানান, নতুন জেগে উঠা এসব চরে মানুষের বসবাস করছেন ঝুঁকি নিয়ে। এসব চরে এখনো অবকাঠামো তৈরি হয়নি। ঝড় জলোচ্ছ্বাসে ঝুঁকিতে থাকেন তারা। ইতিমধ্যে এখানে আশ্রয়কেন্দ্র সহ অবকাঠামো তৈরি করা জন্য প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। জেলা প্রশাসক সহ সরকারের উর্ধ্বতন অনেক কর্মকর্তা চরগাসিয়া পরিদর্শন করেছেন। দ্রুত সময়ের মধ্যে এসব চরকে উন্নয়নের আওতায় আনা হবে।

বেড়ি বাঁধ, কিল্লা ও সাইক্লোন সেন্টার তৈরি করে চরটির মানুষের সুবিধা নিশ্চিত করতে দ্রুত সময়ের মধ্যে সরকারিভাবে সকল ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে এমনটাই প্রত্যাশা করেছেন ঝুঁকিতে থাকা স্থানীয় বাসিন্দারা।

শেয়ার দিয়ে সবাইকে দেখার সুযোগ করে দিন...