বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) সর্বশেষ জরিপ অনুযায়ী, মোবাইল ফোন এবং ইন্টারনেট ব্যবহারে দেশের পুরুষদের তুলনায় পিছিয়ে আছেন নারীরা। আজ মঙ্গলবার (২৮ নভেম্বর) বিবিএস এ বিষয়ে প্রাথমিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দেশের ৬৯ দশমিক ৯৩ শতাংশ মানুষ নিজের ফোন ব্যবহার করেন, যেখানে পুরুষ ৮৪ দশমিক ১৬ শতাংশ আর নারী ৫৬ দশমিক ৪৩ শতাংশ। আর ইন্টারনেট ব্যবহার করেন ৩৬ দশমিক ৯২ শতাংশ। যেখানে পুরুষ ব্যবহারকারী ৪৬ দশমিক ৫৮ শতাংশ, আর নারী ২৭ দশমিক ৭৭ শতাংশ।
সরকারের চূড়ান্ত হিসাবে বর্তমানে বাংলাদেশের জনসংখ্যা ১৬ কোটি ৯৮ লাখ ২৮ হাজার ৯১১ জন। এর মধ্যে নারীর সংখ্যা বেশি । দেশের মোট নারী ৮ কোটি ৫৬ লাখ ৮৬ হাজার ৭৮৪ জন এবং পুরুষ ৮ কোটি ৪১ লাখ ৩৪ হাজার ৩ জন। অনুপাত হিসেবে ৫০ দশমিক ৫৪ শতাংশ নারী এবং ৪৯ দশমিক ৪৬ শতাংশ পুরুষ।
এদের মধ্যে পল্লি এলাকায় বাস করেন ১১ কোটি ৬০ লাখ ৬৫ হাজার ৮০৪ জন, শহরে বাস করেন ৫ কোটি ৩৭ লাখ ৬৩ হাজার ১০৭ জন।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, এখনো বস্তিতে বাস করেন ১৭ লাখ ৩৬ হাজার ৩০২ জন, যেখানে ভাসমান রয়েছেন ২২ হাজার ১৮৫ জন। মোট জনসংখ্যার ৩৭ দশমিক ২১ শতাংশ কোনো না কোনো কাজে নিয়োজিত, কাজ না করা জনগোষ্ঠী ২৯ দশমিক ৩২ শতাংশ, গৃহস্থালি কাজে নিয়োজিত ৩১ দশমিক ৮২ শতাংশ এবং কাজ খুঁজছেন এক দশমিক ৬৫ শতাংশ।
এর আগে গত বছরের ২৭ জুলাই বিবিএসের মাধ্যমে বাস্তবায়িত প্রথম ডিজিটাল জনশুমারি ও গৃহগণনা ২০২২ এর প্রাথমিক প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়।
বিবিএস প্রতিবেদনের ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশের জনসংখ্যা ১৬ কোটি ৫১ লাখ ৫৮ হাজার ৬১৬ জন। এর মধ্যে পুরুষ আট কোটি ১৭ লাখ ১২ হাজার ৮২৪ জন, নারী আট কোটি ৩৩ লাখ ৪৭ হাজার ২০৬ জন এবং তৃতীয় লিঙ্গের জনগোষ্ঠী ১২ হাজার ৬২৯ জন।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, স্বাধীনতার পর ১৯৭৪ সালে অনুষ্ঠিত প্রথম শুমারিতে দেশের জনসংখ্যা ছিল ৭ কোটি ১৫ লাখ। এরপর ১৯৮১ সালে জনশুমারি অনুষ্ঠিত হয়। ওই সময় মোট জনসংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় আট কোটি ৭১ লাখ ১৯ হাজার ৯৬৫ জনে। ১৯৯১ সালে দেশে মোট জনসংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় ১০ কোটি ৬৩ লাখে।
২০০১ সালে চতুর্থ আদমশুমারি ও গৃহগণনা করা হয়, সে সময় জনসংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় ১২ কোটি ২৪ লাখ। ২০১১ সালে অনুষ্ঠিত পঞ্চম জনশুমারিতে দেখা যায়, দেশের জনসংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১৪ কোটি ৪০ লাখ। ষষ্ঠ ডিজিটাল জনশুমারি ও গৃহগণনা ২০২২ এ বাংলাদেশের জনসংখ্যা এখন ১৬ কোটি ৫১ লাখ ৫৮ হাজার ৬১৬ জন। সূত্র চ্যানেল ২৪।