প্রধান বিচারপতির বাসভবন ভাঙচুরের মামলায় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের হাইকোর্টে চাওয়া জামিনের শুনানি বৃহস্পতিবার (৭ ডিসেম্বর) ধার্য করেছেন আদালত। আজ সোমবার (৪ ডিসেম্বর) বিচারপতি মো. সেলিম ও বিচারপতি শাহেদ নূরউদ্দিনের হাইকোর্ট বেঞ্চ এদিন ধার্য করেন। এ বেঞ্চের কার্যতালিকায় আবেদনটি ৭৯২ নম্বর ক্রমিকে ছিল।
বিএনপির আইনজীবীরা রোববার (৩ ডিসেম্বর) সকালে হাইকোর্টে জামিন আবেদন করেন।
গত ২২ নভেম্বর ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আছাদুজ্জামানের আদালত মির্জা ফখরুলের জামিন নামঞ্জুর করেন। তার আগে গত ২০ নভেম্বর জামিন শুনানির দিন ধার্য ছিল। তবে ওইদিন সময়ের আবেদন করে রাষ্ট্রপক্ষ। পরে আদালত শুনানি পিছিয়ে ২২ নভেম্বর তারিখ নির্ধারণ করেন।
এ মামলায় অন্য আসামিরা হলেন- বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু, আব্দুল আওয়াল মিন্টু, আহমেদ খান, অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন, নিতাই রায় চৌধুরী, শামসুজ্জামান দুদু, এয়ার ভাইস মার্শাল (অব.) আলতাফ হোসেন চৌধুরী, ব্যারিস্টার শাহজাহান ওমর, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক আব্দুস সালাম, ভিপি জয়নাল, মহানগর উত্তর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক ফরহাদ হালিম ডোনার ও সদস্য সচিব আমিনুল হক।
উল্লেখ্য, গত ২৮ অক্টোবর বিএনপির মহাসমাবেশ শুরুর আগে প্রধান বিচারপতির বাসভবনের সামনে বিএনপির নেতাকর্মীরা গাছের ডাল ভেঙে ও হাতের লাঠি দিয়ে নামফলক, গেটে হামলা চালানো হয়। আসামিরা ভেতরে ইটপাটকেল ছুড়তে থাকে। এ ঘটনায় মির্জা ফখরুলসহ ৫৯ বিএনপির নেতার বিরুদ্ধে রমনা থানায় একটি মামলা করা হয়।
এরপর ২৯ অক্টোবর সকালে মির্জা ফখরুলকে তার গুলশানের বাসা থেকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে ডিবি পুলিশ। তাকে আদালতে হাজির করে মামলার তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত কারাগারে রাখার আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা। অন্যদিকে ফখরুলের জামিন চেয়ে আবেদন করেন তার আইনজীবী। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শফি উদ্দিন তার জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।