ডিসেম্বর ২৯, ২০২৪

মিয়ানমারে সেনাবাহিনীর মাধ্যমে গণহত্যা এবং যৌন সহিংসতাসহ যুদ্ধাপরাধগুলো ‘ক্রমবর্ধমান এবং নির্লজ্জ’ হয়ে উঠেছে। মঙ্গলবার জাতিসংঘ প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

মিয়ানমারের জন্য স্বাধীন তদন্ত প্রক্রিয়া (আইআইএমএম) তাদের প্রতিবেদনে বলেছে, ‘মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী এবং তার সহযোগী মিলিশিয়ারা ঘন ঘন এবং নির্লজ্জতার সাথে তিন ধরণের যুদ্ধাপরাধ করেছে বলে শক্তিশালী প্রমাণ রয়েছে।’

২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে সেনাবাহিনীর অভ্যুত্থানের মাধ্যমে দেশটির নেতা অং সান সু চির সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করে। এর পর থেকে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশটি মারাত্মক সহিংসতায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। ভিন্নমতের ওপর রক্তাক্ত দমন-পীড়ন চালিয়েছে সেনাবাহিনী, যা দেশের বিভিন্ন অংশে লড়াইয়ের সূত্রপাত করেছে।

জাতিসংঘের প্রতিবেদনে তদন্তের সময়কাল ধরা হয়েছে ২০২২ সালের জুলাই থেকে ২০২৩ সালের জুন পর্যন্ত।

এতে বলা হয়েছে, সেনাবাহিনীর ‘অভিযান চলাকালে আটক বেসামরিক লোক বা যোদ্ধাদের হত্যা’ করা হয়েছে। সেইসাথে নির্যাতন এবং ভয়ঙ্কর যৌন সহিংসতার ঘটনাও ঘটেছে।

আইআইএমএম-এর প্রধান নিকোলাস কৌমজিয়ান বলেছেন, ‘মিয়ানমারে প্রতিটি প্রাণহানি দুঃখজনক, তবে বিমান দিয়ে বোমা হামলা এবং গ্রাম জ্বালিয়ে দেওয়ার মাধ্যমে সমগ্র সম্প্রদায়ের ধ্বংসযজ্ঞ বিশেষভাবে মর্মান্তিক।’

তিনি বলেন, ‘আমাদের প্রমাণগুলো বেসামরিক নাগরিকদের বিরুদ্ধে ব্যাপক এবং পদ্ধতিগত আক্রমণসহ দেশে যুদ্ধাপরাধ এবং মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধের নাটকীয় বৃদ্ধির দিকে নির্দেশ করে…আমরা মামলার নথি তৈরি করছি যা আদালতে পৃথক অপরাধীদের দায়ী করার জন্য ব্যবহার করা যেতে পারে।’

শেয়ার দিয়ে সবাইকে দেখার সুযোগ করে দিন...