নভেম্বর ২৮, ২০২৪

মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ সংঘাতের প্রভাব বাংলাদেশে পড়লে সরকার চুপ থাকবে না বলে জানিয়েছেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী। তিনি বলেছেন, দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় যেকোনো পদক্ষেপ নিতেও সরকার প্রস্তুত রয়েছে।

আজ মঙ্গলবার সকালে সচিবালয়ে থাইল্যান্ডের রাষ্ট্রদূতের সাথে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন খালিদ মাহমুদ চৌধুরী।

তিনি বলেন, মিয়ানমার সংঘাত তাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়। তবে এর প্রভাব যদি বাংলাদেশে পড়ে, তাহলে বাংলাদেশ চুপ করে থাকবে না। আমরা নিবিড় ভাবে পর্যবেক্ষণ করছি।

গত কয়েকদিন ধরেই বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার তুমব্রু সীমান্তের ওপারে মিয়ানমারের রাখাইনে সরকারি বাহিনীর সঙ্গে সশস্ত্র বিদ্রোহী আরাকান আর্মির যুদ্ধ চলছে।

বিদ্রোহীরা মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর ফাঁড়ি দখল করে নিলে এখন পর্যন্ত ২২৯ জন বিজিপি সদস্য বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছেন। এদিকে প্রায়ই সীমান্তের ওপার থেকে গোলা এসে পড়ছে বাংলাদেশ, এ ঘটনায় সোমবার দুইজন নিহত হয়েছেন।

এমন অবস্থার মধ্যেই মঙ্গলবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তলব করা হয় মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূতকে।

খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, মিয়ানমারের সংঘাতময় পরিস্থিতির কোনো প্রভাব এখনো পর্যন্ত কক্সবাজারের টেকনাফ বন্দরে পড়েনি। মিয়ানমার-বাংলাদেশ সীমান্তের নাফ নদী, টেকনাফ স্থলবন্দর এলাকায় সেনাবাহিনী, বিজিবিসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থায় রয়েছে।

এদিকে থাইল্যান্ডের রেনম পোর্টের সাথে পারস্পরিক সমঝোতা স্মারক চুক্তি হচ্ছে বলে জানান নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী। বলেন, এর ফলে দেশটি থেকে দ্রুত পণ্য আনা নেওয়া সম্ভব হবে।

বাংলাদেশ-থাইল্যান্ডের মধ্যে বর্তমানে দুই বিলিয়ন ডলারের বাণিজ্য আছে জানিয়ে তিনি বলেন, এটা যেনো আরো বাড়ানো যায় সে বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।

শেয়ার দিয়ে সবাইকে দেখার সুযোগ করে দিন...