আজ সন্ধ্যা ৭টায় মন্ত্রী হিসেবে শপথ নেবেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন।
বিসিবি সভাপতি মন্ত্রী হওয়ার খবর প্রকাশের পর থেকেই ক্রিকেট পাড়ায় তোলপাড় শুরু হয়েছে। নতুন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব নিলে বোর্ড সভাপতি পদ ছাড়তে হতে পারে পাপনকে। তিনি বিসিবির পদ ছাড়লে ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতি হতে পারেন মাশরাফি অথবা সাকিব।
নড়াইল-২ আসন থেকে দ্বিতীয়বারের মতো নির্বাচিত সংসদ সদস্য হয়েছেন মাশরাফি। তিনি দেশের ক্রিকেটে প্রবাদপ্রতিম ব্যক্তিত্ব। তার ক্রিকেট ক্যারিয়ার অনেক বর্ণাঢ্য, সফল ও সার্থক।
বিসিবি সভাপতি হওয়ার মতো সবরকম যোগ্যতাই তার আছে। বিশ্বজোড়া পরিচিতিও আছে মাশরাফির। একটানা প্রায় পাঁচ বছর জাতীয় দলের অধিনায়ক ছিলেন। তার নেতৃত্বে বাংলাদেশ জাতীয় দল দেশে ও বিদেশে সব ফরম্যাটে সবচেয়ে ভালো পারফরম্যান্স করেছে।
কিন্তু বর্তমান প্রেক্ষাপটে মাশরাফি বোর্ড সভাপতি হতে পারবেন কিনা- এ ব্যাপারে বিসিবির কয়েকজন দায়িত্বশীল শীর্ষপর্যায়ের কর্মকর্তা জানিয়েছেন, গঠনতন্ত্র মোতাবেক এই মুহূর্তে জাতীয় দলের কোনো ক্রিকেটারের পক্ষে বোর্ডপ্রধানের দায়িত্ব নেওয়া সম্ভব নয়।
কারণ গঠনতন্ত্র অনুযায়ী এ মুহূর্তে নাজমুল হাসান পাপন যদি বিসিবি প্রধানের পদ ছেড়েও দেন, তাহলে সবার আগে বাকি পরিচালকদের মধ্য থেকে কেউ একজন হবেন বোর্ড প্রেসিডেন্ট।
নাজমুল হাসান পাপন নিজ থেকে দায়িত্ব ছেড়ে দিলে তবেই না নতুন প্রেসিডেন্ট নিয়োগের প্রশ্ন, অন্যথায় নয়। পাপন তার মেয়াদকালের পুরো সময় সভাপতি পদে আসীন থাকতে চাইলে কারো আপাতত বোর্ডপ্রধান হওয়ার সুযোগ থাকবে না।
পাপন ছেড়ে দিলেও মাশরাফি-সাকিব এখন বোর্ডপ্রধান হতে পারবেন না। কারণ তারা কেউই এখন ক্রিকেট বোর্ডের কাউন্সিলর নন। বর্তমান বোর্ড পরিচালনা পর্ষদের সদস্যও নন।
বিসিবি সভাপতি হতে হলে আগে কাউন্সিলর হতে হবে। নির্বাচন করে জিতে পরিচালক নির্বাচিত হওয়া হলো দ্বিতীয় ধাপ। এরপর বোর্ড সভাপতি হতে গেলে পরিচালকদের ভোটে নির্বাচিত হতে হবে।