যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের মানবাধিকার, গণতন্ত্র ও বেসামরিক জনগণের নিরাপত্তাবিষয়ক আন্ডার সেক্রেটারি উজরা জেয়া বাংলাদেশ সফরে আসছেন ১১ জুলাই।
এ সফরে তিনি রোহিঙ্গা শরণার্থী সংকটসহ মানবিক, শ্রম, মানবাধিকা, অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন এবং মানব পাচার ইস্যুতে বাংলাদেশের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাদের সাথে কথা বলবেন।
ঢাকা সফরের আগে উজরা জেয়া আজই ভারত পৌঁছাবেন। সেখানে তিনি মার্কিন-ভারত অংশীদারিত্বকে আরও গভীর এবং স্থায়ী করার বিষয়ে আলোচনা করতে ঊর্ধ্বতন সরকারি কর্মকর্তাদের সাথে দেখা করবেন। আলোচনায় বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জের সমাধান, গণতন্ত্র, আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা এবং মানবিক সহযোগিতার বিষয়গুলো উঠে আসবে।
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রর দপ্তরের এক মিডিয়া নোটে এসব বিষয় উল্লেখ করা হয়েছে। এতে আরও বলা হয়েছে, দুই দেশেই আন্ডার সেক্রেটারি জেয়া নাগরিক সমাজিক সংগঠনগুলোর সাথে মতপ্রকাশের স্বাধীনতা, নারী ও মেয়েদের অন্তর্ভুক্তি, প্রতিবন্ধী, প্রান্তিক ধর্মীয় ও জাতিগত সংখ্যালঘু বিষয়ে কথা বলবেন।
উজরা জেয়ার এ সফরে তার সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া বিষয়ক অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি ডোনাল্ড লু’র থাকার কথা রয়েছে।
উজরা জেয়ার ঢাকা সফরের পর যুক্তরাষ্ট্রের ইকোনমিক গ্রোথ, অ্যানার্জি ও এনভায়রনমেন্ট বিষয়ক আন্ডার সেক্রেটারি জোসে ফার্নান্দেজের ঢাকা সফরের কথা রয়েছে।
এদিকে উজরা জেয়ার এ সফর শুরুর আগে ওয়াশিংটনে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মুহাম্মদ ইমরান তার সঙ্গে দেখা করেছেন বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে ভয়েব অব আমেরিকা।
বৃহস্পতিবার এ সাক্ষাতের পর এক টুইট বার্তায় উজরা জেয়া বলেন, গণতন্ত্র, মানবাধিকার, ন্যায্য শ্রম চর্চা এবং মানবিক সহযোগিতা বিষয়ে আলোচনার জন্য যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মুহাম্মদ ইমরানকে ধন্যবাদ। আমি আমাদের শক্তিশালী অংশীদারিত্বকে আরো গভীর করতে আগ্রহী।
সাক্ষাৎ প্রসঙ্গে রাষ্ট্রদূত মুহাম্মদ ইমরান ভয়েস অব আমেরিকাকে বলেন, যৌথ স্বার্থ সংক্রান্ত দ্বিপাক্ষিক বিষয় নিয়ে আমরা আলোচনা করেছি…(যেমন) রোহিঙ্গাদের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তা। আমাদের সম্পর্ককে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যেতে ও পরস্পরকে আরও ভারোভাবে বুঝতে ঘনঘন মতবিনিময় ও যোগাযোগ রাখতে আমরা সম্মত হয়েছি।
উচ্চ পর্যায়ের মার্কিন প্রতিনিধিদের আসন্ন এ সফরকে স্বাগত জানিয়ে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, ঢাকা বিভিন্ন বিষয়ে ওয়াশিংটনের সঙ্গে আরও বেশি সম্পৃক্ত হতে চায়।
গত সপ্তাহে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, আমরা যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে অব্যাহত সম্পৃক্ততাকে স্বাগত জানাই। আমাদের লুকানোর কিছু নেই। আমি বিশ্বাস করি যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আমাদের খুব ভালো সময় কাটবে।
ঢাকা ও ওয়াশিংটনের মধ্যে কোনো ভুল বোঝাবুঝি থাকলে তা দূর করতে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাংলাদেশের আরও সম্পৃক্ততা প্রয়োজন বলেও মত দেন তিনি।
ড. মোমেন বলেন, অজ্ঞতার কারণে এবং একটি স্বার্থান্বেষী মহলের দেওয়া কিছু ভুল তথ্যের ভিত্তিতে যুক্তরাষ্ট্র র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। ঢাকা র্যাবের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের জন্য ওয়াশিংটনকে অনুরোধ করেছে এবং জবাবে যুক্তরাষ্ট্র এ বিষয়ে একটি প্রক্রিয়া অনুসরণ করতে বলেছে। আমরা প্রক্রিয়া অনুসরণ করছি।