জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সাবেক কর্মকর্তা মতিউর রহমান ও তার পরিবারের ১৯টি কোম্পানির ৩ কোটি ৭৮ লাখ ৪৬ হাজার ৫১৭টি শেয়ার অবরুদ্ধ করেছেন আদালত। মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) ঢাকা মহানগর দায়রা জজ মোহাম্মদ জগলুল হোসেন দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ আদেশ দেন।
এছাড়া স্থাবর সম্পদ হিসেবে টঙ্গী ও গাজীপুরে স্থাপনাসহ ১৩৭ দশমিক ২৮ শতাংশ জমি, বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় ৩টি কার পার্কিংসহ ৮ হাজার ৭০ স্কয়ার ফিট কমার্শিয়াল স্পেস জব্দ করা হয়েছে। এর আগে গত ১১ জুলাই দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে মতিউর রহমান ও তার পরিবারের ১১৬টি ব্যাংক হিসাব, ২৩টি বিও অ্যাকাউন্ট ও সম্পত্তি ক্রোকের আদেশ দিয়েছেন আদালত।
ক্রোক হওয়া সম্পত্তির মধ্যে রয়েছে- সাভারে ২৬ দশমিক ৬১ শতাংশ জমি, ভালুকায় ১০৪ শতাংশ, ভালুকায় মতিউরের ভাই এ এম কাইউম হাওলাদারের মালিকানাধীন গ্লোবাল সুজের ৯৫৮ শতাংশ জমি, গাজীপুরে আপন ভুবন লিমিটেডের ৮৭৫ দশমিক ৯৫ শতাংশ জমি, নরসিংদীর শিবপুরে মতিউরের স্ত্রী লায়লার নামে ৩৮ শতাংশ, ছেলে অর্ণবের নামে ১২৬ শতাংশ, মেয়ে ইপ্সিতার নামে ৭২ শতাংশ, নাটোরের সিংড়ায় লায়লা কানিজের নামে ১৬৬ শতাংশ জমি। এছাড়া মিরপুরের শেলটেক বিথীকা প্রকল্পে ১ হাজার ৮১২ স্কয়ার ফুটের ৪টি ফ্ল্যাট ক্রোকের আদেশ দিয়েছেন আদালত।
স্থাবর সম্পত্তি ছাড়াও শেয়ারবাজারে তাদের ২৩টি বিও অ্যাকাউন্ট, ১১৬টি ব্যাংক অ্যাকাউন্টের ১৩ কোটি ৪৪ লাখ ৩৬ হাজার ৪৭১ টাকা ফ্রিজের আদেশ দিয়েছেন আদালত। ২৩টি বিও হিসাবে ১৯ কোম্পানির প্রায় ৪ কোটি শেয়ার ছিল।
এর আগে গত ২৪ জুন মতিউর রহমান, তার স্ত্রী লায়লা কানিজ ও ছেলে আহম্মেদ তৌফিকুর রহমান অর্ণবের বিদেশ গমনে নিষেধাজ্ঞা দেন আদালত।
সূত্র জানায়, মতিউর ও তার পরিবারের সদস্যদের সম্পদের তথ্য চেয়ে এনবিআর, বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ), নিবন্ধন অধিদপ্তর, বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি), বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ এবং যৌথ মূলধন কোম্পানি ও ফার্মসমূহের পরিদপ্তরে চিঠি দিয়েছে দুদক।