প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, প্রতিটি জায়গা আমরা উন্নয়ন করেছি। দেশের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া ও উন্নয়নের ধারাকে অব্যাহত রাখতে হলে নৌকায় ভোট দিতে হবে। আমি আশা করি সবাই নৌকায় ভোট দেবে। বিএনপি নির্বাচনে আসেনি। তারা ভোট ঠেকানোর নামে ২০১৩-১৪ সালে যে অগ্নিসন্ত্রাস করছিল, সেই ভয়ঙ্কর রূপ নিয়ে আবার মাঠে নেমেছে।
শনিবার (২৩ ডিসেম্বর) বিকেলে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে ছয় জেলার জনসভায় ভার্চুয়ালি অংশ নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন। শেখ হাসিনা কুষ্টিয়া, ঝিনাইদহ, সাতক্ষীরা, নেত্রকোণা, বরগুনা ও রাঙ্গামাটি জেলার সভায় ভার্চুয়ালি বক্তব্য দেন।
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, মাত্র কয়েকদিন আগে রেলে আগুন দিলো, ফিশপ্লেট খুলে ফেলল, রেলের বগি পড়ে সেখানে একজন মারা গেল। বাসে আগুন দিচ্ছে, ঘুমিয়ে থাকা হেলপার মারা গেল। ঠিক এভাবে আবার তারা অগ্নিসন্ত্রাস শুরু করেছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, এ দেশের মানুষের ওপর বিএনপি-জামায়াত যেভাবে অত্যাচার নির্যাতন করেছিল, তা ভাষায় প্রকাশ করা যায় না। ’৭১ সালে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর সঙ্গে তুলনা করা যায়। রেলে আগুন দিয়ে মানুষ হত্যা করা, একজন মা তার শিশুকে কোলে নিয়ে বসে আছে, সেখানে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে কঙ্কাল করেছে, কোনো মানুষের ভেতরে মনুষ্যত্ব থাকলে এ ঘটনা ঘটাতে পারে না।
শেখ হাসিনা বলেন, বিএনপি নেতা কে- সেটাই প্রশ্ন, দুইটাই তো সাজাপ্রাপ্ত। এতিমের অর্থ আত্মসাৎ এবং বিভিন্ন দুর্নীতির কারণে আজ খালেদা জিয়া সাজাপ্রাপ্ত আসামি। তারপর শারীরিক অবস্থা বিবেচনা করে, তার বোন-ভাই যখন আমাদের অনুরোধ করেছে, আমরা তার সাজা স্থগিত করে তাকে বাড়িতে থাকতে দিয়েছি। যেই তারেক জিয়া আমাকে গ্রেনেড হামলা করে মারতে চেয়েছিল, বোমা মেরে মারতে চেয়েছিল, গুলি করেছে, তারপরও তার জন্য আমরা এটুকু মানবিকতা দেখিয়েছি।
আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, ২০০৭ সালে তত্ত্বাবধায়ক এলে মুচলেকা দিয়ে, আর কখনো রাজনীতি করবে না, নাকে খত দিয়ে বিদেশে পাড়ি দেয়। বিদেশ থেকেও হুকুম করছে পুড়িয়ে পুড়িয়ে মানুষ মারার। বিএনপির যারা আগুন দিয়ে মানুষ পোড়ায়, পাপের ভাগীদার আপনারাই হবেন, তারেক জিয়া হবে না। ও তো ওখানে জুয়া খেলে ভালো আছে আর হুকুম দিচ্ছে, আপনারা নাচেন, কার জন্য নাচেন? জীবনে কোনোদিন সে তো দেশে আসে নাই, মা মরে মরে তাও তো দেখতে আসে না। এত সাহস থাকলে একবার দেশে এসে দেখুক। এ দেশের মানুষ এই হত্যাকাণ্ডের প্রতিশোধ নেবে।