ডিসেম্বর ২৪, ২০২৪

বিশ্ববাজারে তৈরি পোশাক রপ্তানিতে গত বছর প্রতিদ্বন্দ্বী দেশ ভিয়েতনামের চেয়ে বেশ ভালো করেছে বাংলাদেশ। ২০২২ সালে দেশটির চেয়ে ১ হাজার কোটি ডলার বেশি পোশাক রপ্তানি করেছে বাংলাদেশ। ফলে একক দেশ হিসেবে বাংলাদেশ দ্বিতীয় শীর্ষ রপ্তানিকারকের অবস্থান ধরে রেখেছে। পাশাপাশি বৈশ্বিক পোশাক রপ্তানিতে বাংলাদেশের বাজার হিস্যাও বেড়েছে।

বাংলাদেশ গত বছর অর্থাৎ ২০২২ সালে ৪ হাজার ৫০০ কোটি ডলারের তৈরি পোশাক রপ্তানি করেছে, যা বৈশ্বিক পোশাক রপ্তানির ৭ দশমিক ৯ শতাংশ। তার আগের বছর অর্থাৎ ২০২১ সালে বাজার হিস্যা ছিল ৬ দশমিক ৪ শতাংশ। অর্থাৎ বাংলাদেশের বাজার হিস্যা ১ দশমিক ৫ শতাংশীয় পয়েন্ট বেড়েছে।

অন্যদিকে গত বছর ভিয়েতনাম ৩ হাজার ৫০০ কোটি ডলারের তৈরি পোশাক রপ্তানি করেছে। তাদের বাজার হিস্যা ৬ দশমিক ১ শতাংশ। ২০২১ সালে দেশটির বাজার হিস্যা ছিল ৫ দশমিক ৮ শতাংশ।

বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার (ডব্লিউটিও) ‘ওয়ার্ল্ড ট্রেড স্ট্যাটিস্টিক্যাল রিভিউ ২০২৩’ প্রতিবেদনে এ চিত্র উঠে এসেছে। গত সোমবার প্রতিবেদনটি প্রকাশ করে ডব্লিউটিও।

প্রতিবেদন অনুযায়ী, বরাবরের মতো বিশ্বে পোশাক রপ্তানিতে শীর্ষ স্থানে আছে চীন। দ্বিতীয় অবস্থানে আছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। ইইউভুক্ত দেশগুলো ১৫ হাজার ৬০০ কোটি ডলারের পোশাক রপ্তানি করেছে, যদিও একক দেশ হিসেবে বাংলাদেশ দ্বিতীয় শীর্ষ পোশাক রপ্তানিকারক। তৃতীয় স্থানে আছে ভিয়েতনাম।

প্রতিবেদন অনুযায়ী, চীন, ইইউ, বাংলাদেশ, ভিয়েতনামসহ শীর্ষ ১০ রপ্তানিকারক দেশ গত বছর ৪৯ হাজার ২০০ কোটি বা ৪৯২ বিলিয়ন ডলারের তৈরি পোশাক রপ্তানি করেছে। অন্যদিকে ইইউ, যুক্তরাষ্ট্র, জাপান, যুক্তরাজ্য, চীন, কানাডা, কোরিয়া, রাশিয়াসহ শীর্ষ ১০ আমদানিকারক দেশ ৪৪ হাজার ২০০ কোটি ডলারের তৈরি পোশাক আমদানি করেছে।

ডব্লিউটিওর তথ্যানুযায়ী, চীন গত বছর ১৮ হাজার ২০০ কোটি ডলারের তৈরি পোশাক রপ্তানি করেছে।

তার আগের বছর অর্থাৎ ২০২১ সালে তাদের রপ্তানি ছিল ১৭ হাজার ৬০০ কোটি ডলার। সেই হিসাবে গত বছর দেশটির রপ্তানি ৬০০ কোটি ডলার বেড়েছে। তবে বৈশ্বিক রপ্তানিতে তাদের হিস্যা কমেছে।

বৈশ্বিক পোশাক রপ্তানিতে গত বছর চীনের হিস্যা ছিল ৩১ দশমিক ৭ শতাংশ।

শেয়ার দিয়ে সবাইকে দেখার সুযোগ করে দিন...