

টানা তিন কার্যদিবস বন্ধ থাকার পর খুলেছে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান। এসময়ে মোবাইল ফিন্যান্স কোম্পানি এবং এটিএম বুথেও কাঙ্ক্ষিত সেবা মেলেনি। এতে নগদ টাকায় টান পড়েছে গ্রাহকের। এ কারণে ব্যাংক খোলার খবরে শাখায় শাখায় উপচেপড়া ভিড় দেখা গেছে। এদিন টাকা জমার চেয়ে উত্তোলনই বেশি হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ব্যাংক কর্মকর্তারা।
বুধবার (২৪ জুলাই) রাজধানীর মতিঝিল, দিলকুশা, পল্টন, ফকিরাপুল এলাকা ঘুরে এসব চিত্র উঠে এসেছে।
ব্যাংকগুলোর শাখার প্রতিটি সেবা কাউন্টারে উপস্থিত সিংহভাগ গ্রাহকই এসেছেন টাকা উত্তোলন করতে। দু-একজন জমা দিতে এসেছেন।
বেলা সাড়ে ১১টায় টাকা উত্তোলনের জন্য সোনালী ব্যাংকে অপেক্ষা করছিলেন মজিবুর রহমান। তিনি বলেন, গত কয়েক দিনে নগদ টাকার জন্য বেশ অস্বস্তিতে ছিলাম। এটিএম বুথ থেকেও টাকা তুলতে পারিনি। কয়েকটি বুথ ঘুরে দেখেছি সেখানে টাকা না থাকায় আমার মতো আরও অনেকেই বেশ সমস্যায় পড়েছেন। আজ ব্যাংক খোলার কথা শুনেই চলে এসেছি।
আজমত উল্লাহ নামে আরেক গ্রাহক এসেছেন ইসলামী ব্যাংকের দিলকুশা শাখায়। তিনি বলেন, নগদ টাকা সংকটের কারণে নানান সমস্যায় পড়েছি। বাজার করতে পারছিলাম না। সুপারশপ দূরে থাকায় ঝুঁকি নিয়ে সেখানেও যেতে পারিনি। আজ ব্যাংক খুলেছে, লেনদেন করতে পেরে ভালোই লাগছে। অন্তত কাছে টাকা থাকায় মনে শান্তি পাচ্ছি।
শাখায় জমার চেয়ে উত্তোনই বেশি ছিল। এ বিষয়ে সোনালী ব্যাংকের লোকাল অফিসের ম্যানেজার শফিকুল ইসলাম বলেন, তিন কার্যদিবস ব্যাংক বন্ধ ছিল। এসময়ে হয়তো অনেক গ্রাহকই তাদের নগদ টাকা কেনাকাটায় শেষ করেছেন। এ কারণে আজকের বেশিরভাগ গ্রাহকই টাকা উত্তোলন করছেন।
এদিকে আজ বুধবার ও পরদিন বৃহস্পতিবার ব্যাংক খোলা থাকবে বেলা ১১টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত।
এর আগে মঙ্গলবার (২৩ জুলাই) স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল গণমাধ্যমকে জানান, বুধবার ও বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৫ টা পর্যন্ত কারফিউ শিথিল করা হয়েছে। আর একই দিনে জনপ্রশাসনমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন জানান, বেলা ১১টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত সব অফিস খোলা থাকবে।