পাবনায় ১০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে ডায়নামিক সান এনার্জি প্রাইভেট লিমিটেডের সঙ্গে ১২ কোটি ১৬ লাখ ডলারের ঋণ চুক্তি করেছে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি)। আজ মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) এক বিজ্ঞপ্তিতে এডিবি জানায়, বৈশ্বিক অর্থায়নকারীদের সহায়তায় নির্মিত দেশের প্রথম বেসরকারি খাতের ইউটিলিটি পর্যায়ের সৌর সুবিধা এটি।
এতে আরও বলা হয়, সৌর বিদ্যুৎ উৎপাদনে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানকে ১২১.৫৫ মিলিয়ন বা ১২ কোটি ১৫ লাখ ৫০ হাজার ডলার ঋণ দেয়া হচ্ছে। প্রকল্পটির আওতায় প্ল্যান্ট স্থাপন করা হবে বাংলাদেশের পাবনায়। যেখান থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন হবে ১০০ মেগাওয়াট। এতে বছরে কার্বন নিঃসরণ কমবে ৯৩ হাজার ৬৫৪ মেট্রিক টন।
ঋণ প্যাকেজটি সাজানো, কাঠামো প্রস্তুত এবং সিন্ডিকেট করার ক্ষেত্রে এডিবি কেবলমাত্র ম্যান্ডেটেড লিড অ্যারেঞ্জার এবং বুকরানার।
এ অর্থায়ন প্যাকেজের মধ্যে রয়েছে এডিবি থেকে ৪ কোটি ৬৭ লাখ ৫০ হাজার ডলার ঋণ, আইএলএক্স ফান্ডের ১ থেকে ২ কোটি ৮০৫ লাখ ডলারের সিন্ডিকেটেড বি-ঋণ, আমস্টারডামভিত্তিক ইমার্জিং মার্কেট প্রাইভেট ক্রেডিট ফান্ড, যা রেকর্ড ঋণদাতা হিসেবে এডিবির সঙ্গে দেশের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জনে সহায়তা করবে এবং জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সির (জাইকা) ৪ কোটি ৬৭ লাখ ৫০ হাজার ডলারের সিন্ডিকেটেড সমান্তরাল ঋণ।
এডিবির বেসরকারি খাত পরিচালনা বিভাগের মহাপরিচালক সুজান গ্যাবৌরি বলেন, ‘এশিয়ার জলবায়ু ব্যাংক হিসেবে এডিবি বাংলাদেশে নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে সহায়তা করার সুযোগকে স্বাগত জানায়, যেখানে এ ধরনের প্রকল্পের জন্য দীর্ঘমেয়াদি অর্থায়ন পাওয়া একটি চ্যালেঞ্জ।
তিনি বলেন, ‘এই অংশীদারত্ব ক্লিন এনার্জি সুবিধাগুলোর জন্য অর্থায়ন জোগাড় এবং যেখানে এটি সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন সেখানে আরও বিনিয়োগকে উৎসাহিত করার ক্ষেত্রে আমাদের নেতৃত্বের ভূমিকার উদাহরণ।’
সৌর বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি বার্ষিক ১৯৩.৫ গিগাওয়াট-ঘণ্টা বিদ্যুৎ উৎপাদন করবে এবং বার্ষিক ৯৩ হাজার ৬৫৪ টন কার্বন-ডাই অক্সাইড নির্গমন এড়াবে।
ডিএসই প্যারামাউন্ট টেক্সটাইল পিএলসির (পিটি) ব্যবস্থাপনা পরিচালক শাখাওয়াত হোসেন বলেন, ‘এডিবির নেতৃত্বে আন্তর্জাতিক ঋণদাতাদের সহায়তায় বাংলাদেশে বেসরকারি খাতের অন্যতম বৃহৎ সৌর প্রকল্পে অর্থায়ন নিশ্চিত করতে পেরে আমরা আনন্দিত।’
তিনি বলেন, ‘এডিবির মতো আন্তর্জাতিকভাবে স্বনামধন্য আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে অংশীদারত্ব এসডিজির প্রতি পিটির নিবেদনকে নিশ্চিত করে এবং টেকসই প্রবৃদ্ধির দিকে আমাদের যাত্রায় একটি উল্লেখযোগ্য অগ্রগতিকে তুলে ধরে।’