নির্ধারিত দামের চেয়ে বেশি দামে ডলার কেনাবেচা করায় সাত মানি চেঞ্জারের লাইসেন্স স্থগিত করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। পাশাপাশি একই কারণে আরও দশ মানি চেঞ্জারের কাছে ব্যাখ্যা তলব করেছে আর্থিক খাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থা।
বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রানীতি বিভাগ এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে জানা যায়।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র মেজবাউল হক বলেন, কয়েকটি মানি চেঞ্জারের লাইসেন্স স্থগিত করা হয়েছে। বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের কাছে ব্যাখ্যা তলব করা হয়েছে। ব্যাখ্যা পাওয়ার পর তাদের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। বেশি দামে ডলার কেনাবেচা করায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।
লাইসেন্স স্থগিত করা মানি চেঞ্জারগুলের মধ্যে রয়েছে জেনি মানি এক্সচেঞ্জ লিমিটেড, স্ট্যান্ডার্ড মানি এক্সচেঞ্জ, মার্সি মানি এক্সচেঞ্জ, ইয়র্ক মানি এক্সচেঞ্জ, জামান মানি চেঞ্জিং হাউস, বেঙ্গল মানি এক্সচেঞ্জ ও জেবি মানি এক্সচেঞ্জ।
এছাড়া ব্যাখ্যা তলব করা মানি চেঞ্জারের তালিকায় রয়েছে পাইওনিয়ার মানি এক্সচেঞ্জ, বুড়িগঙ্গা মানি এক্সচেঞ্জ, স্কাফ মানি চেঞ্জার, হযরত খাজা বাবা মুদ্রা বিনিময় কেন্দ্র, গ্লোরি মানি এক্সচেঞ্জ, নিউ প্রাইম মানি চেঞ্জার, উত্তরা মানি চেঞ্জার, মিসা মানি এক্সচেঞ্জ, মাতৃক মানি চেঞ্জার ও যমুনা মানি এক্সচেঞ্জ।
এদিকে বেশ কয়েকদিন আগে থেকে আবারও হুট করে ডলারের বাজারে অস্থিরতা তৈরি হয়েছে। খোলা বাজারে প্রতি ডলার ১১৮ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে। এরপরে অনেক চেঞ্জারে ডলার সংকট রয়েছে। তবে বাংলাদেশ ব্যাংকের বেঁধে দেওয়া নিয়মে নগদে প্রতি ডলারের দাম ১১২ টাকা ৫০ পয়সার মধ্যে থাকার কথা।